পেপটিক আলসার থেকে মুক্তির উপায়!

  22-01-2017 03:35PM

পিএনএস ডেস্ক: গ্যাস্ট্রিক বা আলসার নামটির সঙ্গে আমরা সবাই কম-বেশি পরিচিত। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় সাধারণত গ্যাস্ট্রিক বা আলসার বলতে পেপটিক আলসারকেই বোঝানো হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পেপটিক আলসার যে শুধুমাত্র পাস্থলীতেই হয় তা কিন্তু নয়। এটি পৌস্টিক তন্ত্রের যে কোনো অংশেই হতে পারে।

বংশানুক্রমে পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। এছাড়া রোগ-জীবাণু থেকেও এ রোগ আক্রান্ত হতে পারে। হেলিকো বেক্টর পাইলোরি নামক এক ধরনের অণুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী। ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি থাকে।

তবে ভাজা-পোড়া কিংবা ঝালজাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয়। তবে এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ এখনও চিকিৎসা বিজ্ঞান দিতে পারেনি। তবে যারা দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকেন তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

সময়মতো পেপটিক আলসারের চিকিৎসা না করলে পাকস্থলী ফুটো, রক্ত বমি, কালো পায়খানা, রক্তশূন্যতা, ক্যান্সার হতে পারে এবং পৌস্টিক নালীর পথ সরুও হয়ে যেতে পারে। এখন থেকেই সাবধান হয়ে যান। তবে আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের সাধারণ খাবারের সঙ্গে কিছু উপাদান যোগ করেন তাহলেই আপনি পাকস্থলীর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিম্নে সেই উপাদানগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

১। মধু-

মধু পাকস্থলীর প্রদাহ হ্রাস করে। এছাড়াও মধু অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালের নাস্তার সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু খেতে পারেন।

২। রসুন-

পাকস্থলীর আলসার সমস্যা ভুগলে প্রতিদিনের আহারে রসুন যোগ করুন। এতে পেটের প্রদাহ থেকে আরাম পাবেন।

৩। কলা-

পেটের আলসারের জন্য কলা খুব ভালো কাজ করে। এতে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী পদার্থ আছে যা স্বাভাবিকভাবেই পেটের আলসার কমিয়ে দেয়।

৪। বাঁধাকপি-

বাঁধাকপির রস পেটের আস্তরণ জোরদার করে এবং স্বাভাবিকভাবেই আলসার নিরাময় করতে সাহায্য করে। এই রস প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে পান করুন।

৫। মেথি পাতা-

পাকস্থলীর আলসার নিরাময় করতে এক কাপ পানিতে মেথি পাতা ফোটান। এতে এক চিমটি লবণ যোগ করুন। দিনে দু'বার এই উষ্ণ জলটি পান করুন পেট সুস্থ থাকবে।

৬। ডাবের পানি-

ডাবের পানি পেট ঠাণ্ডা রাখে, বিশেষ করে যখন আপনি আলসার সংক্রমিত হন। এই পানি পেটের আরোগ্য এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

৭। মরিচ-

আমরা সবাই মনেকরি ঝাল গেলে গ্যস্টিক বাড়ে, কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। কারণ মরিচ একটি কার্যকরী ঘরোয়া প্রতিকার যা পাকস্থলির ভিতরের ব্যাকটেরিয়াকে নিধন করে থাকে।

৮। নারকেল তেল-

এই তেলে আন্টি-ব্যাকটেরিয়া বৈশিষ্ট্য আছে। যা আপনার পেটের আলসারের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এছাড়া প্রতিদিনের খাবারে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৯। ভিটামিন-ই-

পাকস্থলীর আলসারের চিকিৎসায় ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার হল সেরা ঘরোয়া প্রতিকার। কাজুবাদাম এবং মাছে ভিটামিন-ই আছে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাদ্য যোগ করতে পারেন।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন