আজ রোববার নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস

  28-05-2017 10:23AM

পিএনএস ডেস্ক: নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস রোববার। মায়ের গর্ভকালীন সুস্থতাই পারে একটি সুস্থ শিশু জন্ম দিতে। ‘নিরাপদ প্রসব চাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চল যাই’ প্রতিপাদ্যে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সরকার প্রচার ছাড়াও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সরকার দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে দৈনিক পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে, মোবাইল ফোনে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রচার করবে, দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে আলোচনা সভার আয়োজন করবে এবং অবস্ ও গাইনোকোলজিকাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) তাদের ১৩টি শাখার মাধ্যমে আলোচনা সভা ও সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এছাড়া জেলা, উপজেলা পর্যায়ে দিবসটি উদযাপনের জন্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার দেয়া বাণীতে বলেছেন, ‘একটি দেশের সামগ্রিক অগ্রগতির অন্যতম সূচক প্রসবজনিত মাতৃমৃত্যু হার। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রসবজনিত কারণে প্রতি এক লাখে ১৭৬ জন মায়ের মৃত্যু হয়। যদিও মাতৃত্বজনিত কারণে একটি মৃত্যুও কাম্য নয়। নিরাপদ প্রসব মা ও নবজাতকের সুস্থতা নিশ্চিতকরণসহ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভবিষ্যতের জন্য একটি স্বাস্থ্যবান, আত্মমর্যাদাশীল জাতি গঠনে সহায়তা করে।’

তিনি আরো বলেন, নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার জন্য প্রসবকালীন সময়ে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবারের সদস্যবৃন্দ প্রসব পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দক্ষ সেবাদানকারীর মাধ্যমে প্রসবের ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, আমাদের সরকার গত প্রায় সাড়ে ৮ বছরে মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। নতুন হাসপাতাল নির্মাণ, হাসাপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণ, মাতৃমৃত্যু হ্রাসে জরুরি প্রসূতি সেবা প্রদান, মিডওয়াইফারি কোর্স চালু, দরিদ্র ও দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃস্বাস্থ্য ভাউচার স্কিম চালু করেছে।

তিনি আরো বলেন, কমিউনিটিভিত্তিক স্কিল্ডবার্থ এটেনডেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি ও টিকাদান কর্মসূচি সাফল্যজনকভাবে বাস্তবায়নের ফলে মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। আমাদের এ সাফল্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমরা জাতিসংঘের এমডিজি অ্যাওয়ার্ড ও সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছি।

দিবসটি উপলক্ষে ২৭ মে মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রতিদিন ১৪ জন মা প্রসবজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দক্ষ প্রসব সহায়তাকারীর সহযোগিতায় সন্তান প্রসবের হার বাড়িয়ে বর্তমানে ৪২ শতাংশে নিয়ে আসা হলেও এখনো ৫৮ শতাংশ প্রসব অদক্ষ হাতে বাড়িতে হচ্ছে।’


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন