এক গ্লাস দুধের জাদুতে মুহূর্তেই পরম সুখ!

  16-06-2017 02:43PM

পিএনএস ডেস্ক: গাঁটে, গাঁটে অসহ্য যন্ত্রণা। মাটিতে পা ফেলা হোক, বা হাত তোলা, কার্যত চ্যালেঞ্জ আপনার কাছে? ইউরিক অ্যাসিড বাড়ায় ব্যথায় জেরবার জীবন। আপনার সমাধান হতে পারে এক গ্লাস দুধ, ঘরে পাতা দই বা ছানা। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের বারবাড়ন্ত। গাঁটে গাঁটে জমা হচ্ছে ইউরিক অ্যাসিডের ক্রিস্টাল আর এর থেকেই হচ্ছে ভীষণ ব্যথা গেঁটে বাত।

ইউরিক অ্যাসিডের হামলা, গেঁটে বাতে কাবু জীবন। এ সমস্যায় যারা ভোগেন,ব্যথাহীন একটা দিন কাটানোই তাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়া মানেই খাবারের তালিকায় বিরাট কোপ। সারা দিন ভাবনা একটাই কী খাবেন? কীভাবে ব্যথাএকটু কমে?

দুধের জাদু
মাঠা তোলা, লো ফ্যাট দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারেই হতে পারে মুশকিল আসান।
কারণ দুধ, দই, ছানা, পনিরই ইউরিক অ্যাসিডের যম।
দুধ, ছানা, দই শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড জমতে দেয় না।
দুধে থাকে অর্থোটিক। যা কিডনি থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সাহায্য করে।
দুধের প্রোটিন গেঁটে বাতের আশঙ্কা কমায়।

আর এই ম্যাজিক পাওয়ার রীতিমতো পরীক্ষায় প্রমাণিত। ব্যথা দূর করছে দুধ। লো ফ্যাট দুধ বা দুগ্ধজাত পদার্থ গেঁটে বাত কমাতে পারে। ২০১১ সালের দুটি গবেষণায় দেখা গেছে লো-ফ্যাট যুক্ত দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার গেঁটে বাত কমার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ইউরিক অ্যাসিড থেকে হওয়া ব্যথার সঙ্গে দুধের সম্পর্ক নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণা হয়েছে। ১২০ জন গেঁটে বাতের রোগীর উপর ৩ মাস ধরে পরীক্ষা করেন গবেষকরা। এদের মোট ৩টি গ্রুপে রেখে পরীক্ষা করা হয়। প্রথম গ্রুপকে দেওয়া হয় ল্যাকটোজ পাউডার, দ্বিতীয় গ্রুপকে দেওয়া হয় মাঠা তোলা দুধের পাউডার। তৃতীয়দলকে দেওয়া হয় গ্লাইকোমাক্রোপেপটাইড Glycomacropeptide ও জি৬০০ মিল্ক ফ্যাট যুক্ত মাঠা তোলা দুধের পাউডার। ৩ মাস বাদে দেখায় যায় ৩টি দলের সদস্যরাই আগের থেকে কম ব্যথায় ভুগছেন। তবে তৃতীয়দলের ক্ষেত্রের সুফল মিলেছে সবথেকে বেশি। এদের ক্ষেত্রে ব্যথ্যা আর জয়েন্ট স্টিফনেসও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। গরুর দুধ ইউরিক অ্যাসিড কমাতে দারুণ সাহায্য করে। Xanthine Oxidase নামে একটি এনজামাইম শরীরে ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করতে ভূমিকা নেয়। এই এনজাইমের কার্যকারিতা রুখে দেয় দুধ। তাই এবার ভরসা করুন দুধে। ব্যথা কমাতে, রোজ খান, দুধ, দই , ছানা।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন