‘চিকুনগুনিয়া মোকাবেলায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’

  23-07-2017 07:38AM



পিএনএস ডেস্ক: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমে বলেছেন, চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব হ্রাস সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক আন্দোলন।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু সম্পর্কিত বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, নতুন নতুন চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এই দু’টি রোগের বাহক একই, এডিস মশা। চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতঙ্কের কিছুই নেই।

নাসিমে বলেন, এই রোগে মৃত্যুর ঘটনা নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠান চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জনসচেতনতা সৃষ্টি হলে এডিস মশা নির্ধন কার্যক্রম আরো বেশি কার্যকর হবে এবং চিকুনগুনিয়া নিয়ে জনমনে সৃষ্ট আতঙ্ক দূর হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরে থেকে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ দেশে প্রবেশ করতে পারে। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে সফলতা দেখিয়ে আসছে বাংলাদেশ। বর্তমানে সংক্রামক রোগের চেয়ে অসংক্রামক রোগের দাপট বেড়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংক্রামক রোগ।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের(স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বলেন, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন ভাইরাসজিনত রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগে দীর্ঘমেয়াদী কার্যক্রম চালু করা দরকার। বিভিন্ন প্রকার মশা চিহিৃত করে তাদের প্রকৃত প্রজননস্থান ও বাহিত ভাইরাস এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ নিয়ে গবেষণা করতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে প্রাদুর্ভাব হওয়া সংক্রামক রোগসমূহ মোকাবেলায় পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, মশক নিধনসহ চিকুনগুনিয়া বিষয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। নতুন নতুন ভাইরাস ও রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার বলে মনে করেন মেয়র।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক বলেন, চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমেছে। মশক নিধন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন প্রকার মশা চিহিৃত করে তাদের প্রকৃত প্রজনন স্থান ও বাহিত ভাইরাস এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট রোগসমূহ নিয়ে গবেষণা করতে হবে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন