এবার শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল কুবি

  21-08-2017 07:52AM

পিএনএস ডেস্ক: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এক শিক্ষককে বাধ্যতামূলকভাবে কর্তৃপক্ষের দেয়া এক মাসের ছুটির প্রতিবাদে এবং তা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় রোববার উপাচার্যকে দিনভর অবরুদ্ধ রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ছাত্রলীগের আন্দোলনের পর এবার শিক্ষকরাই আন্দোলনে নামায় অচল হয়ে পড়েছে কুবির একাডেমিক কার্যক্রম।

এদিকে, শিক্ষক মাহবুবুল হককে এক মাসের ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া শিক্ষক মাহবুবুল হকের পক্ষে এই নোটিশটি পাঠান। নোটিশ প্রাপ্তির পরবর্তী ১২ ঘণ্টার মধ্যে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থার কথা বলা হয় নোটিশে।

বিকেলে উপাচার্যের, শিক্ষক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ (আইনুল- জিয়া প্যানেল) পরিস্তিতি সমাধানের জন্য আলোচনা হয়। তবে এখানে থেকে কোন সমাধান আসেনি।

উপাচার্য শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সোমবার আবারো আলোচনায় বসবেন বলে জানা যায়। এর আগে রোববার সকাল ১১টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আলী আশরাফ নিজ কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রশাসনিক ভবনের করিডোরে তার পথরোধ করেন তারা। এ সময় উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের তুমুল বাকবিতণ্ডা হয়।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা চলমান অবস্থায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান মাহবুবুল হক ভুঁইয়া (তারেক) শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন- এই অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগ অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

একই দাবিতে পরদিন থেকে টানা দুইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর প্রশাসন কর্তৃক ওই শিক্ষককে ২০ আগস্ট থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদান করা হয়।

একই সঙ্গে ঘটনাতদন্তে ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ছুটি প্রত্যাহারের দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ (আইনুল-জিয়া প্যানেল)।

বঙ্গববন্ধু পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, শিক্ষকের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের নিয়মিত অবস্থান কর্মসূচি চলবে।

রাতে এ বিষয়ে কুবির উপাচার্য প্রফেসর ড. আলী আশরাফ বলেন, আমাকে ইতোপূর্বে গাড়িতে আটকে রাখা হয়, রোববার আমাকে করিডোরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়, করিডোরে কোনো সমাধান হয় না। ওই শিক্ষককে যে ছুটি দেয়া হয়েছে এটা কোনো শাস্তি নয়।

এছাড়া ঘটনাটি তদন্তের জন্য কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক বলেও ভিসি জানান।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন