জানা গেলো সদ্যোজাত শিশুর জন্ডিসের কারণ

  24-08-2017 03:10PM

পিএনএস ডেস্ক: চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কারণে এখন শিশু মৃত্যুর হার অনেক কম। তারপরও সদ্যোজাত শিশুরা এখনো ঝুঁকির মধ্যে আছে। অনেক শিশুই জন্মের তিনদিন পর থেকে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়। কিন্তু সদ্যোজাত শিশুর জন্ডিস হবার কারণ এতোদিন অজানাই ছিল। এবার তা জানা গেল। এবারে হয়তো ওই জন্ডিসের হাত থেকে বাঁচানো যাবে সদ্যোজাতদের। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী রবার্ট টুকে গবেষনা করে এর কারণ উদঘাটন করেছেন। গবেষণায় সহযোগীর কাজ করার জেরে রবার্ট টুকের সঙ্গে জড়িয়ে গেল প্রবাসী ভারতীয় গ্যাসট্রো এন্টারোলজিস্ট আনন্দ কান্ননের নাম।

জন্মের তিনদিন পর থেকেই অনেক শিশু আটকা পড়ে যায় জন্ডিসের জটিল জটে। শরীরের রঙ কাঁচা হলুদের মতো হওয়ার পাশপাশি পেট মারাত্মক ফুলে যায়। প্রস্রাব হলদে হতে থাকে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে সদ্যোজাতের তাপমাত্রা। সচরাচর জন্মের তিনদিন পরে রোগটি ধরা পড়ে। এই রোগের পোশাকি নাম সিভিয়র নিওন্যাটাল হাইপার বিলিরুবিনেমিয়া।

জন্মের ঠিক তিনদিন পর থেকেই কেন এই জন্ডিসের আক্রমণ ঘটতো তা বলতে পারতেন না চিকিৎসকরা। সেই অজানারই খোঁজ দিলেন রবার্ট টুকে ও তার দল। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান দিয়াগো স্কুল অব মেডিসিনের ফার্মাকোলজি’র অধ্যাপক রবার্ট টুক। তিনি তার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শুজুয়ান শেন আর অনাবাসী কেরলের চিকিৎসক আনন্দ কান্নন’কে নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন।

চিকিৎসক আনন্দ কান্নন জানাচ্ছেন, সদ্যোজাতদের শরীরে একটি বিশেষ প্রোটিনের কারণেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। যেসব সদ্যোজাতের দেহের ওজন বেশি তাদের এই প্রোটিন তৈরি হয় না। অন্যদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম ওজন হলেই ওই প্রোটিনটির বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। ওই প্রোটিনটি রক্তে মেশা বিলিরুবিনকে পানিতে দ্রবীভূত হতে দেয়না।

শিশুদের দেহে বিলিরুবিনকে জলে দ্রবীভূত হওয়ার জন্য জন্য যে জিনটি দায়ী, তাকেই কিছু সময়ের জন্য নিষ্ক্রিয় করে দেয় ওই প্রোটিন। এখন ওই প্রোটিনের খোঁজ মেলায় তাকে নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারলেই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন