পিছিয়ে পড়া জেলাগুলোতে মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস

  09-12-2017 11:06AM


পিএনএস ডেস্ক: গত কয়েক দশকে মাতৃমৃত্যুহার হ্রাস, শিশুর বেঁচে থাকার হার বৃদ্ধি এবং পরিবার পরিকল্পনা ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে এসব অর্জন সত্ত্বেও কিশোরীদের গর্ভধারণ, নিরাপদ মাতৃত্ব এবং নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা, নবজাতকের মৃত্যুহার এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসের ক্ষেত্রে এখন একটা স্থিতাবস্থা বিরাজ করছে এবং প্রতিবছর প্রায় ৬২ হাজার নবজাতক মারা যাচ্ছে।

এ সব সমস্যা সমাধানে ‘যৌন, প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নতি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছে সরকার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্যগুলো প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মা, নবজাতক, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যসহ সমন্বিত যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার উন্নত করতে কানাডীয় সরকার, ইউনিসেফ ও ইউএনএফপিএ’র সহায়তায় দেশের পাঁচটি পিছিয়ে থাকা জেলায় ‘যৌন, প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার এবং মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবা উন্নতি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প চালু করেছে সরকার।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই প্রকল্প পরিচালনা করবে। বিভিন্ন উন্নয়ন অংশীদারের সহায়তাপুষ্ট চলমান ২০১৭-২০২২ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কার্যক্রমের প্রধান বিষয়গুলোর সঙ্গে মিল রেখেই এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

এই কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ১৫ হাজার ৫শ জীবন রক্ষা পাবে এবং ১৭ লাখ ৫০ হাজার মহিলা ও মেয়ে শিশু যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে। এটা কোনো ছোট ব্যাপার নয়।

সারা বিশ্বময় এরকম কাজই ধীরে ধীরে পৃথিবীর চেহারা পাল্টে দিচ্ছে। দেশের পিছিয়ে থাকা ২৫টি জেলায় সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে ঘিরে উন্নত বাড়িতে ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নবজাতকের অত্যাবশ্যকীয় সেবা সংক্রান্ত আচরণ ও অভ্যাস গড়ে তুলতে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করে ইউনিসেফ।

এর অংশ হিসেবে ৩২টি হাসপাতালে অসুস্থ নবজাতকদের জন্য স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ন ইউনিট (স্কানু) চালু, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সগুলোতে নিউবর্ন স্ট্যাবিলাইজিং ইউনিট চালু এবং সেবার মান উন্নত করা উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

নতুন এই প্রকল্পের অধীনে পিছিয়ে থাকা পাঁচটি জেলা- জামালপুর, মৌলভীবাজার, সিরাজগঞ্জ, রাঙামাটি ও পটুয়াখালীতে এ সমস্ত সুবিধা বাড়ানো হবে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডুয়ার্ড বেগবেদার এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে (এসডিজি) মা ও নবজাতকের রোগব্যাধি ও মৃত্যুহার হ্রাস, কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত করার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা প্রদানে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ইউনিসেফের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি আছে। আর এ লক্ষ্যে এই প্রকল্প একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ। দুটি সংস্থাই কমিউনিটিতে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করবে।

পরিবার পরিকল্পনা ও কিশোর-কিশোরী স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার মাধ্যমে যৌন ও প্রজনন অধিকার রক্ষায় নেতৃত্ব দেবে ইউএনএফপিএ এবং স্থানীয় পর্যায়ে পরিকল্পনা, মাতৃত্ব, নবজাতক জন্মের আগে ও পরে মৃত্যু পর্যালোচনা ও নজরদারি (এমপিডিএসআর) এবং উদ্ভাবনী ও ভালো চর্চার প্রসারে নেতৃত্ব দেবে ইউনিসেফ। – বাসস-ইউনিসেফ

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন