মাইগ্রেন কেন এবং প্রতিকার

  03-05-2018 11:30PM

পিএনএস ডেস্ক: বিভিন্ন কারণে মাইগ্রেন হতে পারে যদিও এটি মূলত ‘জেনেটিক’। আবহাওয়া বদলের জন্যেও এই রোগ হতে পারে। অনেকেই ক্রমাগত দুশ্চিন্তা, টেনশন থেকে মাইগ্রেনের শিকার হন। মস্তিষ্কে বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাণ ওঠানামাও এই রোগের জন্য দায়ী। বিভিন্ন উদ্দীপনা এক স্নায়ু থেকে অন্য স্নায়ুতে পৌঁছতে এই রাসায়নিকগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলোর ভারসাম্য নষ্ট হলে মাইগ্রেন হতে পারে। নানাধরণের ওষুধ থেকেও এই রোগ হতে পারে।

মাইগ্রেন হলে মাথার একদিক প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথা ৭২ ঘণ্টাও থাকতে পারে। মাথার একাংশ দপদপ করে ব্যথা করে। কারও বমি ভাব হয়। বমিও হতে পারে। এই অবস্থা দুই দিন, তিন দিন চলতে থাকে। গ্যাস-অম্বল থেকেও এই সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন এই সমস্যা চলতে থাকলে অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা হয়।

মাইগ্রেনের ব্যথা হলে অনেক সময় আলোর দিকে তাকাতে পারেন না রোগীরা। দিনের বেলাতে তাই তাদের কষ্ট হয়। চোখে আলোর ঝলকানি দেখা যায়। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক কাজকর্ম করার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যায়। ব্যথা শুরু হয় ভোরের দিকে। সারাদিন ধরে চলতে থাকে। তিনদিন, চারদিন ধরে এ রকম ব্যথার ফলে মানসিক শান্তিও নষ্ট হয়।

নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের দরকার। রোগীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার, টিভি দেখা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে সমস্যা বাড়তে পারে। সে কারণে এ সব ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়।

অতিরিক্ত ঘুরে বেড়ানো বা দীর্ঘপথ পাড়ি দেওয়ার ধকলের জন্য মাইগ্রেন হতে পারে। অর্থাৎ শরীরের উপর অতিরিক্ত ধকল থেকে মাইগ্রেনের প্রবণতা দেখা দেয়। আবার অনেক সময় কোনো কারণ ছাড়াই এই রোগ দেখা দেয়। তা ছাড়া মাইগ্রেন যাদের হয়, সূর্যের আলোতে তাদের দেখতে সমস্যা হয় বলে বাইরে বার হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা দরকার।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন