বিশ্বে রয়েছে ১০০ প্রকারের করোনা ভাইরাস, মাত্র ৭ প্রকারেই বিধ্বস্ত পৃথিবী!

  16-04-2020 07:02PM

পিএনএস ডেস্ক: করোনা ভাইরাস নিয়ে অনেক আলোচনা চলছে। জাতিসংঘ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে দ্রুত এর ভ্যাক্সিন তৈরি করতে হবে, না হলে বিশ্বঅর্থনীতি ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি মানব সভ্যতাও রয়েছে আতঙ্কের মধ্যে।

কিন্তু জানেন সারা বিশ্বে কতধরণের করোনা ভাইরাস রয়েছে। তবে এর মধ্যে ক্ষতিকারক কতগুলি সেটাও জানতে হবে। সেই তথ্যই মিলছে বায়োটেকনোলজির একটি গবেষণা সূত্রে।

প্রীতম দাস মূলত বায়োটেকনলজির ছাত্র। পাশাপাশি চালাচ্ছেন গবেষণা। এই ভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘সারাবিশ্বে প্রায় ১০০ প্রকারের করোনা ভাইরাস রয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে সাতটি প্রকার মানব শরীরে ক্ষতি করে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই সাত প্রকারের মধ্যে আবার চার প্রকার করোনাভাইরাস মাইল্ড কোল্ড বা ঠান্ডা লাগা ও ফ্লু এর মত উপসর্গের সৃষ্টি করে। আর বাকি তিন প্রকার বেশ ক্ষতিকারক হিসেবে বিবেচিত হয়। চার প্রকারের হিউম্যান করোনাভাইরাস রয়েছে। যথাক্রমে : ১) 229E ২) NL63, 3) OC43 ৪) HKU1।

তিনি আরও জানাচ্ছেন , এই করোনা ভাইরাসকে আবার চারটি ভাগে ভাগ কড়া হয়েছে। সেগুলি হল আলফা , বিটা, ডেলটা ও গামা। এদের মধ্যে আলফা ও বিটা ট্রান্সমিট করছে স্তন্যপায়ী প্রাণীকে। বর্তমান কোভিড ১৯ বিটা শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।

ডেলটা ও গামা শুধুমাত্র পাখি থেকে পাখির শরীরে ট্রান্সমিট করে। এবার যে তিনটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে সার্স , মার্স , সার্স কোভিড ২।

বেজিং এর একটি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৩টি ভাইরাল জিনোম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়। তারা জিনোমের দুটি স্থানে বা অঞ্চলে কমন মিউটেশন দেখতে পায়। জিনোমে দুটি অঞ্চলে পার্থক্যের ভিত্তিতে তারা দুটি ভাগে বিভক্ত করেছে। একটি হচ্ছে ‘এল টাইপ ‘ ও অপরটি হলো ‘এস টাইপ ‘।

তারা আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে এল টাইপ অল্ডার এস টাইপ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। জানা যাচ্ছে এল টাইপ এস টাইপের থেকে অনেক বেশি অ্যাগ্রেসিভ।

আইসিএমআর এর মুখ্য গবেষক ড. রমন আর গঙ্গাখেদকর জানিয়েছেন, বাদুড়ের শরীরে করোনাভাইরাসের মিউটেশন হয়, এরপরই সেটি মানব শরীরে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তিনি আরও জানিয়েছেন বাদুড় থেকে প্যাঙ্গোলিনের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর প্যাঙ্গোলিন থেকেই ছড়িয়েছে মানুষের শরীরে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন