পিএনএস ডেস্ক: রাজ্যে একই পরিবারে দুই নারীর মৃত্যু। খুনের বদলে খুনের অভিযোগ। প্রথমে মৃত্যু হয় এক গৃহবধূর। এর পরে পিটিয়ে মারা হয় ওই গৃহবধূর শ্বাশুড়িকে।
গৃহবধূকে পিটিয়ে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর থানার নগেন্দ্রগঞ্জে। আর এই অভিযোগেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বাশুড়িকে পিটিয়ে খুন করল মৃত গৃহবধূর গ্রামের বাসিন্দারা।
অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হত শম্পা লাহা নামে ওই গৃহবধূর উপরে। বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সাগরের শ্রীদাম গ্রামে শ্বশুরবাড়ির অদূরে একটি ঝোপের মধ্যে গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখা যায় শম্পাকে। খবর পেয়ে সাগর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
শম্পার মৃত্যুর খবর পৌঁছায় তার বাপের বাড়ির এলাকা নগেন্দ্রগঞ্জে। খবর পেয়ে শম্পার বাপের বাড়ি এলাকার লোকজন চড়াও হয় শম্পার শ্বশুরবাড়িতে। শম্পার শ্বাশুড়ি লক্ষ্মী লাহাকে তুলে নিয়ে আসা হয় নগেন্দ্রগঞ্জে। সেখানে বেধরক মারধর করা হয় লক্ষ্মী লাহাকে।
খবর পেয়ে, সাগর থানার পুলিশ লক্ষ্মীকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের হাতে পাঁচ পুলিশকর্মী আক্রান্ত হন। কার্যত, পুলিশের সামনেই পিটিয়ে মারা হয় লক্ষ্মী লাহাকে। পরে সাগর থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও লক্ষ্মী লাহার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকে এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ঘরছাড়া। শম্পার স্বামী শুকদেব লাহাকে গ্রেপ্তার করেছে সাগর থানার পুলিশ।
পিএনএস/আলআমীন
গৃহবধূকে খুনের দায়ে শ্বাশুড়িকে পিটিয়ে হত্যা
22-10-2016 01:55PM