অবশেষে ইয়েমেনে শেষ হলো অস্ত্রবিরতি

  23-10-2016 07:23PM

পিএনএস ডেস্ক : জাতিসংঘের উদ্যোগে ইয়েমেনে সৌদি সমর্থিত বাহিনী ও ইরান সমর্থিত বিদ্রোহীদের মধ্যকার তিনদিনের অস্ত্রবিরতি শনিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। অস্ত্রবিরতির মধ্যেই শনিবার উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ করেছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা ও বাসিন্দারা জানান, অস্ত্রবিরতির কারণে রাজধানী সানায় সৌদি আরবের বিমান হামলা বন্ধ ছিলো। তবে সম্মুখযুদ্ধ এ সময়ে বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সৌদি বাহিনী লক্ষ্য করে হুথি বিদ্রোহীদের মিসাইল হামলার সংখ্যাও কমে আসে।

সৌদি আরবের ৪র্থ ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল আহমেদ আল-আসারি রয়টার্সকে জানান, হুথি বিদ্রোহীদের হামলার পর জবাব দিয়েছে তার বাহিনী। তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করা হয়নি। তারাই এটা ভঙ্গ করেছে। আমরা তাদের প্রতিহত করছি। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেক শত্রু আমাদের ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে আসছে। বিপুল সংখ্যক শত্রু যোদ্ধা সীমান্তের দিকে এগিয়ে আসছে।

আসারি জানান, সৌদি আরবের নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করা মিসাইল ও লঞ্চার হামলার পরও সৌদি জোট ইয়েমেনে বিমান হামলা চালায়নি।

হুথিদের পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরা জানায়, শুক্রবার নাজরান সীমান্তে সৌদিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। একই সঙ্গে সৌদি প্রদেশ জিজানে রকেট লঞ্চারও নিক্ষেপ করা হয়।

টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, রাজধানী সানা অভিমুখে সৌদি জোটের বহুমুখী বিমান হামলার জবাবেই হুথি বিদ্রোহীরা পাল্টা হামলা করে।

জাতিসংঘ ও কূটনীতিকরা আশা করেছিলেন, তিনদিনের অস্ত্রবিরতি ও পরে এর মেয়াদ বাড়ানো গেলে ১৯ মাসের যুদ্ধাবস্থা নিরসনে আলোচনার সুযোগ তৈরি হবে।

প্রভাবশালী সামরিক নেতা ও নির্বাসিত ভাইস প্রেসিডেন্ট আলী মোহসেন আল-আহমার এক বিবৃতিতে জানান, শুক্রবার জাতিসংঘ দূত ইসমাইল ওউলদ চেইখ আহমেদ অস্ত্রবিরতির মেয়াদ আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বিদেশি কূটনীতিক অস্ত্রবিরতির জন্য উভয়পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে সরকার বা বিদ্রোহী কোনও পক্ষ এতে রাজি হচ্ছে না।
সূত্র: রয়টার্স।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন