এটিএম লাইনে লাশ ডিঙিয়ে নোট তুলছে মানুষ

  03-12-2016 05:30PM

পিএনএস ডেস্ক: ভারতে বাতিল নোটের কারণে এটিএমের লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হলো আরো এক ব্যক্তির। লাইনে দাঁড়ানো কেউই আসেনি তাকে সাহায্য করতে। গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে মানবিকতা নিয়ে।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এবিপি জানিয়েছে, শনিবার হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এটিএম লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত্যু হয় কুঁচবিহার এক বাসিন্দার। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি। মাটিতে পড়ে গেলেও কেউ তাকে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি। মাটিতে লুটিয়ে পড়া মানুষটিকে ডিঙিয়ে অন্যরা ক্যাশ কাউন্টারের দিকে এগোতে থাকে।

পরে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে মানবিকতা নিয়ে। কিন্তু রাষ্ট্র সৃষ্ট কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে যেমন দেশের মুদ্রা ব্যবস্থার উপর প্রভাব পড়ে তেমনি সম্প্রতিক নোট বাতিল ইস্যু ভারতের জনগণের প্রান্তিক মানবিকতাবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

এর আগে ভারতে ব্ল্যাকমানি (কালোমুদ্রা) রুখতে প্রচলিত চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ৫০০ ও ১০০০ রুপির নোট অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

ওই ঘোষণার পর থেকেই বিপাকে পড়েন দেশটির ব্যবসায়ী, রোগী, পর্যটকসহ সাধারণ মানুষ। এমনকি বাংলাদেশে অবস্থান করা ভারতীয়রাও এ ধরনের মুদ্র নিয়ে বিপদে পড়েছেন। মুদ্র রাখার বৈধ কাগজপত্র না থাকলে সেগুলো বদলে দিচ্ছে না মানি এক্সচেঞ্জগুলো।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মনমোহন সিংহ বলেছেন, নোট বাতিলের উদ্দেশ্য সৎ হলেও এ সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। লুটকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়েছে এবং ভুলকে দেওয়া হয়েছে আইনি স্বীকৃতি।

নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে মোদি সরকারের প্রতি হুঙ্কার ছেড়েছেন পশ্চিবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে নোট বাতিল করায় প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে। ভারতে বাংলাদেশি টাকা ও ইউএসএ ডলারের মানও কমে যাওয়ায় ভারতের উত্তর ত্রিপুরা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশি পণ্য নিতে এলসি করতে পারছেন না।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন