গুরুর পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত হলেন জয়ললিতা

  07-12-2016 01:18AM

পিএনএস ডেস্ক : চেন্নাইয়ের ম্যারিনা বিচে গুরু এম জি রামাচন্দ্রনের সমাধির পাশে চন্দনকাঠের বাক্সে করে জয়ললিতাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের ম্যারিনা বিচে তার মরদেহ সমাহিত করা হবে তা আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। কিন্তু আম্মাকে ঘিরে শহর জুড়ে যে বাঁধভাঙা আবেগের বহিঃপ্রকাশ হল তা শেষ কবে কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে তা মনে করতে বেশ কষ্ট করতে হবে। রাজনৈতিক গণ্ডি ছাড়িয়ে জয়ললিতা ছুঁলেন আপামর মানুষের মন।
জয়ললিতার মরদেহ সারা দিন শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য চেন্নাইয়ের পাবলিক অডিটোরিয়াম রাজাজি হলে রাখা হয়। সেখান থেকে বিকালে জাতীয় পতাকায় ঢেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ম্যারিনা বিচ এলাকায়। রাজাজি হল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরেই মারিনা বিচ। ওই রাস্তায় এ দিন তিলধারণের জায়গা ছিল না। মাত্র তিন কিলোমিটার রাস্তা পেরতেই মরদেহবাহী শকটসহ শোভাযাত্রার সময় লাগলো ঘণ্টা খানেকের বেশি। রাস্তার দু’পাশে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড়ে শোভাযাত্রা এগিয়েছে অত্যন্ত ধীর গতিতে। ম্যারিনা বিচে তা পৌঁছলে সেখানেও দেখা গিয়েছে সেই পরিচিত ছবি।
শেষকৃত্যের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করার পর জয়রাম জয়ললিতাকে চিরতরে বিদায় জানালেন প্রিয় বন্ধু শশিকলা।
চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে রাজাজি হলে গিয়ে দুপুরে জয়ললিতার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চেন্নাইয়ে জয়ললিতার শেষকৃত্যে অংশ নিতে পারেননি। তবে তিনি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, উত্তর প্রদেশের অখিলেশ যাদব, কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীসহ দেশটির আটটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা জয়ললিতার শেষকৃত্য ও সমাহিত করার সময় উপস্থিত ছিলেন।
তিন মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৩০ মিনিটে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জয়ললিতা। তার মৃত্যুতে তামিলনাড়ু রাজ্যে সাত দিনের শোক ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এ ছাড়া তামিলনাড়ুর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন