বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বার্ষিকীতে মুসলিমদের কালো দিবস পালন

  07-12-2016 09:55AM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতের অযোধ্যায় ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ২৪তম বার্ষিকী ছিল গতকাল। ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় করসেবক নামধারী উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা প্রকাশ্য দিবালোকে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করেছেন মুসলিমরা। অন্য দিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে করসেবকপুরমে শৌর্য দিবস পালন করা হয়।

আগেই অযোধ্যাসহ গোটা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হয়। সিনিয়র পুলিশ সুপার অনন্ত দেব বলেছেন, অযোধ্যা ও ফৈজাবাদে বিশেষ তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। যানবাহন ছাড়াও হোটেল, ধর্মশালা, বাসস্ট্যান্ড ও রেলওয়ে স্টেশনে বিশেষ তদন্ত অভিযানও চালানো হচ্ছে। স্পর্শকাতর এলাকায় প্রচুর সংখ্যায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে সোমবার বিশেষ বৈঠকে বসেন।

টেডিবাজারে মুসলিম সংগঠনের পক্ষ থেকে কালা দিবস পালনের কর্মসূচি নেয়া হয়। অন্য দিকে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ করসেবকপুরমে শৌর্য দিবস পালন করার কর্মসূচি নেয়। হিন্দু জাগরণ মঞ্চের প্রদেশ সভাপতি আজ্জু চৌহান বলেন, হিন্দুদের জন্য ৬ ডিসেম্বর গর্বের দিন। বজরং দলের মহানগর আহ্বায়ক বান্টি ঠাকুর বলেন, মহানগরে মোটরসাইকেল মিছিলসহ আতশবাজি পোড়ানো হবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় সর্বদলীয় মুসলিম অ্যাকশন কমিটির আদনান কুরেশি বলেন, কালো দিবস পালন করে উগ্র শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। মসজিদ পুনঃনির্মাণের দাবিতে প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে দেয়া স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেয়া হবে। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগের পক্ষ থেকে গান্ধী পার্কে ধর্না-বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আবার বাবরি মসজিদ নির্মাণের দাবি জানানোসহ রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে স্মারকলিপি দেয়া হয়।

পশ্চিমবঙ্গে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটি ‘সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের দেগঙ্গার বেলিয়াঘাটায় এ উপলক্ষে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ৬ ডিসেম্বরের দিনটি ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে। তিনি ভারতে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য রক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। সিপিআইএম নেতা ও লোকসভা সদস্য সিতারাম ইয়েচুরি এক বার্তায় বলেছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর সবচেয়ে বড় আঘাত। আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন