দামি প্যান্ট পরে বিপাকে টেরেসা মে

  09-12-2016 01:18PM


পিএনএস ডেস্ক: মহা ঝামেলায় ফেসেছেন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। কী কুক্ষণেই একজোড়া লেদার প্যান্ট কিনেছিলেন! গাটের কড়ি তো গেছেই, আবার সমালোচকদের টিপ্পণিও শুনতে হচ্ছে।

সম্প্রতি বৃটেনের ‘সানডে টাইমস’ কাগজে ৯৯৫ পাউন্ড দিয়ে গাঢ় বাদামি রঙের লেদার প্যান্ট এবং ১৪০ পাউন্ড মূল্যের জুতো পরা তার ছবি বেরিয়েছে। তাতেই বেজায় চটেছেন সমালোচকরা। তাদের দাবি, এত দামি জামা–কাপড় পরে আখেরে নিজেরই ক্ষতি করছেন মে।

সাধারণ মানুষের থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছেন। জুলাই মাসে ক্ষমতায় আসার পর কনজারভেটিভ পার্টির প্রাক্তন মন্ত্রী নিকি মরগানকে পদচ্যুত করেছিলেন টেরেসা মে। এই সুযোগে তিনিও একহাত নিয়েছেন।

বলেছেন, ‘আমার তো লেদার প্যান্ট–ই নেই। বিয়ের গাউন কিনতেই যা খরচ হয়েছিল। তার বাইরে জীবনে এতটাকা কখনও খরচ করিনি।’

তবে মুখ খুলতে হয়নি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীকে। তার সমর্থকরাই যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তাদের দাবি, বৃটেনের পুরুষ রাজনীতিকরা টেরেসার চেয়েও ঢের দামি পোশাক পরেন। কই তাদের নিয়ে তো কথা হয় না! মে–র পূর্বসুরি ডেভিড ক্যামেরনও জামা–কাপড় নিয়ে বেশ সচেতন ছিলেন। ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দিকে বিখ্যাত দরজি রিচার্ড জেমসের তৈরি স্যুট ছাড়া নাকি গায়ে গলাতেন না।

তখন একটা স্যুট পিছু ৪০০০ মার্কিন ডলার খরচ পড়ত। পরিস্থিতি বুঝে পরে অবশ্য হাত খরচে লাগাম টানেন তিনি। তখন ২,৫০০ ডলার খরচ করে জিওফ্রে গোল্ডিং নামের আর এক দরজির তৈরি পোশাক পরতেন।

তবে ক্ষমতায় আসার পর টেরেসা ইচ্ছেমতো খরচ করছেন, এমন দাবি সঠিক নয়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে থেকেই পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে বেশ সচেতন তিনি। তার প্রিয় ডিজাইনার ভিভিয়ান উড্স।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন