বহুল আলোচিত মস্কোর সেই হোটেল

  15-01-2017 01:57PM


পিএনএস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এখন বহুল আলোচিত নাম রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অবস্থিত রিটজ-কার্লটন হোটেল এবং পতিতা ইস্যু। এই হোটেলটিতে থাকতে হলে এক রাতের জন্য ভাড়া গুনতে হয় ১৪ হাজার পাউন্ড। ২০০৯ সালের জুলাইয়ে মস্কো সফরকালে এই হোটেলে উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। একই হোটেলে ২০১৩ সালের সফরের সময় উঠেছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ করা হয়েছে, ওবামা ও মিশেল ওবামা ওই হোটেলে যে স্যুটে উঠেছিলেন, তারা যে বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন তা কলুষিত করিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি একদল পতিতা ভাড়া করেছিলেন। তাদেরকে দিয়ে তার সামনে ওবামা দম্পতির ব্যবহার করা ওই বিছানায় মূত্র ত্যাগ করিয়েছেন।

এ দৃশ্য গোয়েন্দা ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে। তা রয়েছে রাশিয়ার হাতে। সেই ভিডিও দিয়ে ট্রাম্পকে ব্লাকমেইল করা হতে পারে বলেও রিপোর্ট বেরিয়েছে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ বিষয়টি ট্রাম্পের সামনে তুলে ধরেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। ফলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তিনি এমন খবরকে মিথ্যা বলে দাবি করেন। মুখ খোলেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তারা বলেন, এমন কোনো কথা তারা বলেন নি। কিন্তু আলোচনায় বিষয়টি ঘুরপাক খাচ্ছেই। পশ্চিমা মিডিয়ায় নিত্যদিন এ নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে। লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মিরর পত্রিকায় ওই হোটেল সম্পর্কে একটি রিপোর্ট বেরিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রিটজ কার্লটন মস্কো হোটেলটি ২৫৯০ বর্গফুটের। এর জানালাগুলো ক্রেমলিন, রেড স্কোয়ার ও সেন্ট বাসিল ক্যাথেড্রালমুখি।

২০১৫ সালে এটি সংস্কার করে আরও বিলাসবহুল করা হয়েছে। এর বেডরুমে রয়েছে আধুনিক মানের আরাম কেদারা। লাউঞ্জ ঢাকা রয়েছে ভেড়ার নরম চামড়ায়। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অতিথিরা উপভোগ করতে পারেন ৪২ ইঞ্চির টেলিভিশন। চারদিকে রয়েছে সাউন্ড সিস্টেম। রয়েছে মার্বেলের বাথ টাব সহ আরও অনেক সুবিধা। ২০০৯ সালের মস্কো সফরের সময় এখানেই উঠেছিলেন বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা। এরপর ২০১৩ সালে মস্কো সফরে গিয়ে ওই হোটেলে অবস্থান নেন ডনাল্ড ট্রাম্প। স্টার অনলাইন বলেছে, সেখানে তিনি এক মিস ইউনিভার্স সুন্দরীকে সঙ্গে রাখেন। ভাড়া করে নেন একদল পতিতাকে। রাশিয়ার গুপ্তচরদের সঙ্গে তিনি সমঝোতায় আসেন যে এ বিষয়ে তারা গোপনীয়তা বজায় রাখবেন। এরই ভিত্তিতে ট্রাম্পকে পতিতা ভাড়া করতে দেয়া হয়। কিন্তু পতিতারা যখন সেখানে যান তাদের সঙ্গে নিয়ে যান লুকানো মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা। এ দিয়ে সেখানকার সব কিছু রেকর্ড করা হয়।

এ বিষয়ে অনলাইন বুজফিড রিপোর্ট করেছে যে, মস্কোতে বাজে কিছু আচরণ করেছিলেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রিটজ কার্লটন হোটেলে প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট ভাড়া করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা রাশিয়া সফরের সময় যে স্যুটে অবস্থান করেছিলেন তিনি সেই স্যুটটি ভাড়া নেন। ওবামা, মিশেল যে বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন তা তিনি কলুষিত করেন। এ জন্য একদল পতিতা ভাড়া করেন, যাতে তারা তার সামনে ওই বিছানায় মূত্রত্যাগ করে। এ হোটেলের সবকিছু ছিল এফএসবির নিয়ন্ত্রণে। তারা লুকানো ক্যামেরা দিয়ে সেখানকার সবকিছু রেকর্ড করতে পারে।

এসব বিষয় সামনে আসার পর ডনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, এসব মিথ্যা খবর। এটা পুরোপুরি রাজনৈতিক জাদুবিদ্যা। তবে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করেন এমন এক বৃটিশ গোয়েন্দা এসব তথ্য হাতে পেয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। অভিযোগ যখন জটিল আকার ধারণ করেছে তখন এর বিশ্বাসযোগ্য ও প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে তদন্ত করার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন