পিএনএস ডেস্ক: সৌদি প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকে মার্কিন প্রশাসনের এক ঝাঁক শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন।
এর মধ্যে ছিলেন- জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার, ট্রাম্পের সিনিয়র উপদেষ্টা ও জামাই জ্যারেড কুশনার, কৌশল বিষয়ক উপজাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দিনা পাওয়েল এবং ট্রাম্পের মেন্টর সিনিয়র উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন।
গত ১৪ মার্চ পেন্টাগনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে এই উপদেষ্টারা অংশ নিয়েছেন, যা স্বাভাবিক নয়। এতে ইঙ্গিত মেলে যে, ট্রাম্প প্রশাসন সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক এবং মধ্যপ্রাচ্য ও ইসলামের বিষয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করছে।
এটি এখন স্পষ্ট যে, আরব দেশগুলোতে ইরানের প্রভাব বিস্তার ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের অস্ত্র সরবরাহ করায় এবং আইএস ও আল-কায়েদার মতো উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কারণে নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা করতে সামরিক শক্তিকে অবলম্বন করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রশাসন সামরিক শক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং বুদ্ধিবৃত্তিক পদক্ষেপকেও অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। শুধু ক্ষমতার জন্য নয়, আরব এবং ইসলামী বিশ্বে প্রভাব বিস্তার ও অর্থনৈতিক সুবিধা গ্রহণে নেতৃত্ব দেয়ার জন্যও এটি চাইছে।
এছাড়া আরব-ইসরাইল দ্বন্দ্বের অবসানে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর উগ্রপন্থী মতাদর্শকে মোকাবেলার মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করতে চায় যেন উগ্রপন্থীরা প্রত্যাশিত শান্তি বা অন্তত পক্ষে আসন্ন স্থিতিশীলতাকে হুমকিতে ফেলতে না পারে। আল আরাবিয়া অবলম্বনে
পিএনএস/আনোয়ার
সৌদি প্রিন্সকে নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের আগ্রহের রহস্য
21-03-2017 09:18AM