জার্মানিতে বসবাসরত তুর্কি প্রবাসীরা গণভোটে ভোট দিচ্ছেন

  28-03-2017 06:20AM

পিএনএস ডেস্ক: তুরস্কের সংবিধান পরিবর্তন নিয়ে গণভোটে ভোট প্রদান করতে শুরু করেছেন জার্মানির তুর্কি ভোটাররা। সোমবার ভোর থেকে তারা ভোট প্রদান করেন।

পরিবর্তনের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বিপুল ক্ষমতার অধিকারী হবেন।

সোমবার দেশটির শত শত প্রবাসী জার্মানির তুর্কি কনস্যুলেটে লাইনে দাড়িয়ে এই ভোট প্রদান করেন।

জামার্নিতে প্রায় ১.৪ মিলিয়ন যোগ্য তুর্কি ভোটার রয়েছে। ১৬ এপ্রিলের গণভোটকে সামনে রেখে অন্য পাঁচটি ইউরোপীয় দেশেও এ ভোটগ্রহণ শুরু শিগগিরই শুরু হবে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে তুর্কি মন্ত্রীরা সাংবিধানিক পরিবর্তনের পক্ষে জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসে প্রচারণার উদ্যোগ নিলে দেশ দুটি এতে বাধা দেয়। ফলে দেশ দুটির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এসব ঘটনায় উভয় দেশকে নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করেন ক্ষুব্দ প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

তবে, জার্মানির তুর্কি ভোটাররা তাদের পৈতৃক স্বদেশভূমির মতোই গভীরভাবে বিভক্ত।

পোলিং বুথে আসা তুর্কি ভোটাররা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। সংবিধান সংশোধনের পক্ষে না বিপক্ষে ভোট দিবেন তা নিয়ে তারা কিছুটা বিভক্ত।

হুসাইন সারেগাল নামে একজন ভোটার বলেন, ‘আমি গণতন্ত্রের জন্য ভোট দিয়েছি।’
তিনি ইঙ্গিত দেন যে, তিনি ব্রাউন ব্যালটের ‘না’ ভোট প্রদান করেছেন। ‘হ্যাঁ’র পক্ষে সাদা ব্যালটে তিনি ভোট দেননি বলে জানান।

সারেগাল তার পরিবারের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলীয় ড্রেসডেন্ট শহরে আট বছর ধরে বসবাস করেছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহে জার্মানি এবং তুরস্কের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে, ‘না’ ভোট জয়ী হবে। এই গণভোট কেবল একজন ব্যক্তির স্বার্থে। এটা একনায়কতন্ত্রের একটি পদক্ষেপ।’

আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, ফ্রান্স এবং সুইজারল্যান্ডের তুর্কি ভোটাররাও তাদের ভোট প্রদান করতে পারবেন।

অন্যান্য দেশে এই ভোট গ্রহণ পরে শুরু হবে। ৫৭টি দেশের ১২০ তুর্কি মিশনে প্রায় তিন মিলিয়ন ভোটার তাদের ভোট প্রদান করতে পারবেন।

তুরস্কে এই ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ এপ্রিল। এই নির্বাচনে ‘হ্যাঁ’ ভোট জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী পদের বিলুপ্ত ঘটবে এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাহী ক্ষমতার মালিক হবেন।

আসলান ইসমাঈল নামে বার্লিনের একজন ভোটার এরদোগানের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করার জন্য ইউরোপীয় দেশগুলোকে অভিযুক্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘জার্মান মিডিয়া এবং জার্মান রাজনীতিবিদরা চাচ্ছেন ‘না’ ভোটের বিজয়।’ তুর্কি মন্ত্রীদের প্রচারণা চালাতে বাধা দেয়ার তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘এরদোগান-বিরোধী প্রদক্ষেপের কারণ সম্পর্কে আমি বুঝতে পারছি না। তুর্কি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই সংস্কার সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে এখানে আসতে চেয়েছিলেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘জার্মানিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতার নীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং তুর্কি মন্ত্রীদের বাধা প্রদানের মাধ্যমে এই নীতির অসম্মানিত করা হয়েছে।’

তিনি এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির সদস্য নয় বলেও জানান।
সূত্র: এএফপি

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন