‘উত্তর কোরিয়া পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ না করলে যুদ্ধ অবশ্যাম্ভাবী’

  28-04-2017 12:05PM


পিএনএস ডেস্ক: উত্তর কোরিয়া যদি তাদের পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি বন্ধ না করে তাহলে যুদ্ধ অবশ্যাম্ভাবী বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

এ সময় তিনি শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিরোধ মোকাবেলা করার ইঙ্গিত দেন। শনিবার ট্রাম্পের ক্ষমতাগ্রহণের একশ দিন পূর্তি হবে।

ট্রাম্প বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি এ বিরোধের শান্তিপূর্ণ মীমাংসা চান। এ জন্য তার প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি সামরিক বাহিনীকেও প্রস্তুত রাখছেন।

তিনি বলেন, আমরা কূটনৈতিকভাবে সমস্যার সমাধান করাটা পছন্দ করি কিন্তু তা খুবই কঠিন।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশংসা করে বলেন, আমি বিশ্বাস করি শি চিনপিং সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন। তিনি একজন ভালো মানুষ। আমি তাকে খুব ভালোভাবে চিনি। তিনি ধ্বংস এবং মৃত্যু দেখতে চান না।

ট্রাম্প আরো বলেন, জিনপিং চীনকে ভালোবাসেন। চীনের জনগণকে ভালোবাসেন। আমি জানি তিনি কিছু করতে পারবেন। তবে না পারারও সম্ভাবনাও রয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, সমস্যা হলো চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। আমি বুঝতে পারি এই পরিস্থিতে তিনি আমাদের সাহায্য করার জন্য সবকিছু করছেন। এ কারণে আমি এখন তার জন্য কোনো জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না। প্রথমে আমি তার (শি জিনপিং) সঙ্গে কথা বলতে চাই।

উত্তর কোরিয়া বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে কিম জং উনের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, অল্প বয়সে সে দেশের দায়িত্ব নিয়েছে। তার বয়স মাত্র ২৭ বছর। তার বাবা মারা গেছেন। এরপর তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। এই বয়সে সবকিছু সহজ নয়।

৪২ মিনিটের ওই সাক্ষাৎকারে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েনের সঙ্গে আবার আলাপের বিষয় নিয়ে শান্তভাবে বক্তব্য দেন ট্রাম্প। এর আগে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপে চীন ক্ষুব্ধ হয়।

তিনি আরো জানান, দক্ষিণ কোরিয়ায় থাড মোতায়েনের খরচ পরিশোধ করবে এটাই চান। থাড মোতায়েনে মোট ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের।

এ ছাড়া তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি পর্যালোচনা করবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। খুব শিগগিরই তিনি এই পর্যালোচনার ঘোষণা দেবেন বলে জানান।

ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি দেখতে চান বলে জানান ট্রাম্প। তিনি অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য সৌদি আরব নিজেদের অংশের মূল্য পরিশোধ করছে না।

মুসলিম দেশগুলো প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, জঙ্গিবাদকে পরাস্ত করতে হবে। সূত্র: রয়টার্স

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন