অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সামনে স্বামী খুন

  18-05-2017 02:57PM

পিএনএস ডেস্ক : মা-বাবার অমতে বছর দেড়েক আগে অমিত নায়ারকে বিয়ে করেন মমতা চৌধুরী। তিনি এখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের পর গতকাল বুধবারই প্রথম ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে দেখতে জয়পুরে আসেন মা-বাবা। কিন্তু এদিনই ঘটে অবিশ্বাস্য ঘটনা। তাঁর চোখের সামনেই খুন হন স্বামী অমিত। এই খুনের জন্য মা-বাবাকে দায়ী করছেন মমতা। এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

পেশায় প্রকৌশলী ছিলেন কেরালার অমিত (২৮)। তিনি বয়সে রাজস্থানের মমতার চেয়ে দুই বছরের ছোট ছিলেন। তাঁদের মধ্যে জাতেও মিল ছিল না। প্রতিবেশী থাকাকালে মমতার সঙ্গে অমিতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মা-বাবার তীব্র বিরোধিতার মুখেও অমিতকে বিয়ে করে জয়পুরে বসবাস করে আসছিলেন মমতা। সেখানকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন অমিত।

মমতার ভাষ্য, বিয়ের পর প্রথমবারের মতো গতকাল তাঁর বাবা জীবন রাম চৌধুরী ও মা জয়পুরে তাঁদের বাড়িতে আসেন। তাঁরা অমিতের খোঁজখবর নেন। এসব দেখেশুনে মমতা ভাবছিলেন, তাঁর মা-বাবা হয়তো সবকিছু মেনে নিতে যাচ্ছেন। সবাই মিলে একসঙ্গে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় দুজন লোক হুড়মুড় করে বাড়ির কক্ষে ঢুকে পড়েন। তাঁরা অমিতকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি ছোড়েন। অমিতকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তাঁর ঘাড় ও বুকে গুলি লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।

মমতার অভিযোগ, তাঁর মা-বাবাই ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামী অমিতকে খুন করিয়েছেন। তাঁর চোখের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

মমতার মা-বাবা পলাতক রয়েছেন। তাঁদের ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অশোক গুপ্তা বলেন, মমতার মা-বাবা তাঁকে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন। এতে রাজি হননি মমতা। মা-বাবা দুজন ভাড়াটে খুনি সঙ্গে নিয়ে মমতার বাসায় এসেছিলেন। তাঁরা মমতাকে জোর করে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বাধা দেন। এ সময় ভাড়াটে খুনিরা তাঁর স্বামীকে গুলি করেন।

জাতবৈষম্যের কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে একই ধরনের একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। সেখানে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আর তাঁর স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন।

তুমমালা স্বাতী নামের ওই তরুণী আমবোজি নরেশ নামের একজনকে বিয়ে করেন মা-বাবার অমতে। দুজনের জাতে মিল ছিল না। এ কারণে বিয়েতে মা-বাবার আপত্তি ছিল। বিয়ের পর এই দম্পতি মুম্বাইয়ে বসবাস শুরু করেন। পরে দুজনকে বাড়িতে দাওয়াত দেন স্বাতীর মা-বাবা। স্বামীকে নিয়ে ২ মে স্বাতী তাঁর মা-বাবার বাড়িতে আসেন। এ সময় স্বাতীকে তাঁর বাবা জোর করে নিয়ে যান। আর স্বাতীর স্বামী নিখোঁজ হন। গত সোমবার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন স্বাতী।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন