পিএনএস ডেস্ক:ভারতের প্রতিটি স্কুলেই ‘ভাগবদ গীতা’ পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। যে সমস্ত স্কুল ওই নিয়ম মানবে না, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। এমনকি সেক্ষেত্রে ওই স্কুলগুলির স্বীকৃতিও বাতিল হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সংসদের আগামী অধিবেশনেই আলোচনা করা হবে বলে খবর।
গত মার্চ মাসেই দেশটির সংসদে ‘কম্পলসারি টিচিং অফ ভাগবদ গীতা অ্যাজ এ মোরাল এডুকেশন ইন্সিটিউশন বিল, ২০১৬’ পেশ করা হয়। যেখানে বলা হয় নৈতিক শিক্ষা প্রদানের অংশ হিসেবেই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচিতে যেন এটি পড়ানো হয়। তবে গীতা পড়ানোর ওই নিয়ম থেকে বাদ রাখা হচ্ছে সংখ্যালঘু স্কুলগুলিকে। তাদের ক্ষেত্রে আপাতত এ বিষয়ে কোন কিছুই বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।
বিজেপি সাংসদ রমেশ বিধুরি জানান, ‘স্কুলে গীতা পড়ানো এবং এর উন্নত চিন্তাধারা আগামী প্রজন্মকে আদর্শ নাগরিক ও তাদের ব্যক্তিত্বকে সমৃদ্ধ করে তুলতে সাহায্য করবে’। তিনি আরও বলেন যে সমস্ত স্কুল এই আইন মেনে চলবে না, সরকারের উচিত সেই স্কুলগুলির স্বীকৃতি বাতিল করা।
বিধুরি জানান ‘গীতা এমন একটি সাহিত্য যেখান থেকে সব বয়সী মানুষ শিক্ষা নিতে পারবেন। অথচ তাকেই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি অবহেলা করছে, এটা খুবই দু:খজনক’।
দেশের সব স্কুলে গীতা পড়ানোর জন্য কমপক্ষে ৫ হাজার কোটি রুপি খরচ হতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছেন রমেশ বিধুরি।
পিএনএস/আলআমীন
ভারতের প্রতিটি স্কুলে বাধ্যতামূলক হচ্ছে ‘গীতা’
22-05-2017 01:23PM