কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা তেরেসা মে’র

  24-05-2017 12:52AM


পিএনএস ডেস্ক: বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। পরে মঙ্গলবার সকালে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমি এইমাত্র সরকারের ইমারজেন্সি কমিটি কোবরার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছি। এ বৈঠকে আমরা ম্যানচেস্টারে গত রাতের (সোমবার) মর্মবিদারক হামলার বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী হামলায় হতাহত, তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, ‘এটি এখন সন্দেহাতীত যে, ম্যানচেস্টার ও এ দেশের জনগণ এক নির্বিকার সন্ত্রাসী হামলার শিকার। এই হামলায় ঠাণ্ডা মাথায় আমাদের সমাজের সবচেয়ে তরুণ কিছু মানুষকে টার্গেট করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য যতগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী হামলার কবলে পড়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। যদিও এবারই প্রথম ম্যানচেস্টার এভাবে হামলার শিকার হয়েছে, তা নয়। তবে এই শহরের জন্য এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।’

তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থা হামলার পুরো পরিস্থিতি বোঝার জন্য কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে যতটুকু বলা সম্ভব তা আমি আপনাদের বলতে চাই।’ এরপর প্রধানমন্ত্রী হামলার বিবরণ দিয়ে বলেন, ‘গত রাতে ১০:৩৩ মিনিটে ভিক্টোরিয়া ট্রেন স্টেশনের পাশে ম্যানচেস্টার সিটি সেন্টারে ম্যানচেস্টার অ্যারেনা এলাকায় বিস্ফোরণের খবরে পুলিশ গিয়ে পৌঁছায়। আমরা এখন জানি যে, একজন সন্ত্রাসী ভেন্যুর অন্যতম প্রস্থানপথের পাশে তার ইমেপ্রাভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইডি)-এর বিস্ফোরণ ঘটায়। সে উদ্দেশ্যমূলক এমন সময় ও স্থান বেছে নেয় যাতে হত্যালীলার নৃশংসতা সর্বোচ্চ হয়, এবং বাছবিচারহীনভাবে মানুষকে হতাহত করা যায়। এই বিস্ফোরণ একটি পপ কনসার্টের সমাপনীর সঙ্গে মিল রেখে ঘটানো হয়। এই কনসার্টে অংশ নিয়েছে অনেক তরুণ ও শিশু।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব ধরনের সন্ত্রাসী হামলাই নির্দোষ মানুষের ওপর কাপুরুষোচিত হামলা। কিন্তু মর্মঘাতী ও অসুস্থ কাপুরুষতার জন্য এই হামলা অন্যগুলোর চেয়ে আলাদা। উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরীহ, অসহায় শিশু ও তরুণ মানুষের ওপর হামলা চালানো হয়েছে যাদের কিনা নিজেদের জীবনের অন্যতম স্মরণীয় রাত উপভোগ করার কথা ছিল।’

তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি যা দাঁড়াচ্ছে তাতে আমি বলতে পারি হামলাকারী সহ ২২ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৫৯ জন। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে বৃহত্তর ম্যানচেস্টারজুড়ে ৮টি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অনেকেই গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘আমরা সেসব বিকৃত ও অপ্রকৃতিস্থ মস্তিষ্ককে বুঝতে অক্ষম যারা তরুণ আর শিশু-কিশোরে ভর্তি একটি কক্ষকে উদযাপন করার মতো দৃশ্য হিসেবে না দেখে, হত্যাযজ্ঞ চালানোর সুযোগ হিসেবে দেখেছে। কিন্তু আমরা এ ধরনের হামলা ভবিষ্যতে ঠেকিয়ে দেয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমরা সেই মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়া ও পরাজিত করতে চাই যা প্রায়ই আরো সহিংসতার জন্ম দেয়। আর এ হামলার জন্য যদি অন্য কেউ দায়ী বলে বের হয়ে আসে, তাদেরকে খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করতে চাই।’

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন