ট্রাম্প ফের ক্ষেপেছেন মার্কিন সংবাদমাধ্যমের ওপর, তদন্তের নির্দেশ

  27-05-2017 12:37PM


পিএনএস ডেস্ক: কোনো ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের আগেই ম্যানচেস্টার হামলার আত্মঘাতী জঙ্গির নাম বেরিয়ে গিয়েছিল প্রথম সারির এক মার্কিন দৈনিকে। এ নিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসন উষ্মা প্রকাশ করার পরপরই নিজের দেশের সংবাদমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কী করে তথ্য ফাঁস হলো, তা জানতে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টকে তদন্তের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক ট্রাম্পের। বিভিন্ন খবরের কাগজ ও টিভি চ্যানেলকে নাম করে করে তিরস্কার করেন তিনি। যোগ দেন না হোয়াইট হাউসের সাংবাদিকদের বিশেষ নৈশভোজেও। যে মার্কিন দৈনিকে ম্যানচেস্টার হামলা নিয়ে নানা তথ্য ফাঁস হয়েছে, তাদের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক খুবই খারাপ!

ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এসেছেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের সংবাদমাধ্যমে বারবার তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। সব দেশেই এ ধরনের তথ্য ফাঁস জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক।’

ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিটেনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই গভীর। সত্যি বলতে কী, অন্য কোনও দেশের সঙ্গে আমরা এত ঘনিষ্ঠ নই। এ ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনা খুবই ন্যক্কারজনক।’

এই তথ্য ফাঁসের জেরে ভবিষ্যতে আমেরিকার সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান আর করা হবে কি না, তা নিয়ে ব্রিটিশ প্রশাসনের অন্দরে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গেছে। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ব্রাসেলসেই কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন টেরেসা মে। তবে ট্রাম্পের বিবৃতির পরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষতে কিছুটা মলম পড়ল বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।

ম্যানচেস্টার বিস্ফোরণের পরে ব্রিটিশ তদন্তকারীরা শুরু থেকেই বলছিলেন, তাদের কাছে জঙ্গি সম্পর্কে তথ্য রয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তার কারণে তারা এই মুহূর্তে সেগুলো প্রকাশ্যে আনছেন না। তার পরেও মার্কিন দৈনিকে আত্মঘাতী সেই জঙ্গি সালমান আবেদির নাম প্রকাশ করা হয়। শুধু তা-ই নয়, ফরেন্সিক তদন্তে উঠে আসা বেশ কিছু তথ্যও ফাঁস হয়ে যায় মার্কিন দৈনিক মারফত।

গত সোমবার রাতে ম্যানচেস্টার এরিনায় মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের অনুষ্ঠানের পরে বিস্ফোরণে যে-বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি সম্পর্কেও বেশ কিছু স্পর্শকাতর তথ্য বেরিয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই প্যারিস ও ব্রাসেলসের জঙ্গি হামলায় একই ধরনের বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল।

এ ধরনের তথ্য প্রথমে মার্কিন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ায় খুবই ক্ষুব্ধ হন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। ব্রিটিশ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে যে প্রমাণ উদ্ধার করেছে, তার প্রায় সবটাই ফাঁস হয়ে গেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন