কাশ্মীর ফের অশান্ত, দিনভর সংঘর্ষ

  28-05-2017 01:05AM



পিএনএস ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা কাশ্মীরে হিংসা, অশান্তিতে নতুন মাত্রা যোগ করল তার উত্তরসূরী আরেক হিজবুল মুজাহিদীন নেতা সবজার আহমেদ ভাটের নিহতের ঘটনা।

পুলওয়ামার ত্রালের সোইমোহ গ্রামে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিতে সবজার ও আরো এক স্বাধীনতাকামীর মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাত থেকে গ্রামের এক বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ভাট ও তার সঙ্গী এলাকা ঘিরে তল্লাসি অভিযানের সময় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতেই নিহত হন তারা।

এছাড়াও রামপুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলিতে ৬ অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যুতেও বড় সাফল্য পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু সবজারের মৃত্যুর খবর ছড়াতেই উপত্যকা জুড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, পাথর ছোঁড়া শুরু হয়।

জনতা-নিরাপত্তাবাহিনীর খণ্ডযুদ্ধ হয় ৫০টিরও বেশি স্থানে। ৬জন বুলেটে, ১৩ জন পেলেট গানের ছররায় জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জখম হয়েছেন ৫ পুলিশকর্মীও।

সোইমোহ গ্রামে গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে স্থানীয় এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সবজারের মৃত্যুর প্রতিবাদে এলাকার লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করলে তাদের ওপর নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালায়। গুলিতেই মারা গিয়েছে লোকটি। বিক্ষোভ, সংঘর্ষের খবরে আগে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাজারহাট, দোকানপাট।

স্বাধীনতাকামীরা এক মুহূর্তও দেরি না করে আসরে নেমেছে স্থানীয় মানুষকে বিক্ষোভকে কাজে লাগাতে। সবজারের মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নামা জনতার ওপর নিরাপত্তাবাহিনীর বলপ্রয়োগের বিরুদ্ধে আগামীকাল থেকে দুদিন উপত্যকায় হরতালের ডাক দিয়েছে হুরিয়তের দুই শাখাই। ৩০ মার্চ তারা নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ত্রালে মিছিল করে যাওয়ার কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে।

ফলে অশান্তি আরো ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ঠেকাতে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। যদিও বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বহাল রয়েছে। আগে থেকেই উপত্যকায় ২২টি সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ও অ্যাপসের ওপর নিষেধাজ্ঞা চালু রয়েছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন