ভারতে মুসলমানদেরকে মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা

  28-05-2017 07:44AM



পিএনএস ডেস্ক: ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের অমরোহাতে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। মুসলিমদের অভিযোগ, তাদেরকে অমরোহার সাকতপুরে মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না।

ওই ঘটনায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সংশ্লিষ্ট ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের এক নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কিষাণ সঙ্ঘের দাবি, মসজিদটি 'অবৈধভাবে' নির্মাণ করা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে মসজিদটির বাইরে এখন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

শুধু নামাজ পড়তে বাধা দেয়াই নয়, এরকম অবস্থায় এলাকার মুসলিমরা নিরাপত্তাহীনতায়ও ভূগছে। যে কোনো সময় তাদের উপর হামলা হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। ফলে নিরাপত্তাহীনতায় আতংকিত মুসলিমরা বাধ্য হয়ে ওই গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে পারেন বলেও চিন্তাভাবনা করছেন।

অমরোহার এক মুসলিম বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হচ্ছে না। মসজিদ থেকে আমাদের বাইরে বের করে দেয়া হয়েছে। সেখানে এখন পুলিশ বসে আছে। এখন পরিস্থিতি এরকম যে, আমাদের পালিয়ে যেতে হবে।

পুলিশের দাবি, গ্রামে মসজিদ নেই, মাদ্রাসা আছে। এজন্য এখানে নামাজ পড়তে দিতে অন্য সম্প্রদায়ের লোকজন আপত্তি জানিয়েছে। গোটা ঘটনায় সুখরামপাল রানার নাম প্রকাশে এসেছে। উনি ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘের নেতা।

অন্য একটি সূত্রে প্রকাশ, ওই নেতা গ্রামের লোকজনকে জড়ো করে বৈঠক করেন এবং সেখানে তীব্র আপত্তিকর স্লোগান দেয়া হয়। এ সংক্রান্ত এক ভিডিও চিত্র গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও তীব্র আপত্তিজনক পোস্ট করা হয়েছে। ওই ঘটনায় উত্তেজনা বাড়লে সেখানে পুলিশের পাশাপাশি পিএসি বাহিনী মোতায়েন করতে হয়েছে।

অভিযুক্ত ওই নেতা ও তার কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করলেও মুসলিমরা বলছেন, যদি তাদের মসজিদে নামাজই পড়তে না দেয়া হয় তাহলে তারা এখান থেকে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হবেন। তাছাড়া তারা আশংকা করছেন, যে কোনো সময় তাদের উপর হামলাও হতে পারে।

অভিযুক্ত ওই কিষাণ নেতা এতটাই শক্তিশালী যে, তিনি গত ২১ মে এক অনুষ্ঠান চলাকালীন পুলিশের এক কর্মকর্তাকে জুতো পেটা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু উনি আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন