পিএনএস ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশগুলোর অবরোধের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া উপসাগরীয় রাষ্ট্র কাতারে একটি রসদবাহী জাহাজ পাঠিয়েছে তুরস্ক।
এর পাশাপাশি ক’জন সেনা সদস্য ও সাঁজোয়া যানবাহনের ছোট একটি দলও কাতারে পাঠিয়েছে তুরস্ক।
অন্যদিকে কাতার সংকট নিয়ে সৌদি আরবের নেতাদের সঙ্গে ফোনে আলাপ-আলোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কীভাবে ওই অঞ্চলের উত্তেজনা কমানো যায়, পরিস্থিতি শান্ত করা যায়-তাই ছিল আলোচনার বিষয়বস্তু।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশ 'সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেয়ার' অভিযোগে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে।
তাৎক্ষণিকভাবে তুরস্কের প্রতিক্রিয়া ছিল, কোনো পক্ষ না নেয়া এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে সংলাপের মধ্যস্থতা করা। কিন্তু দুদিনের মধ্যেই কাতারের পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে চেষ্টা করে আঙ্কারা।
প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এই অবরোধের সমালোচনা করেছেন খুবই কড়া ভাষায়।
সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে।
উপসাগরীয় অঞ্চলে এমন উত্তেজনা কাটানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক। তবে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে সৌদি আরবসহ মিত্র দেশগুলোর ভূমিকায় আঙ্কারা উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।
কাতার সংকট সৃষ্টির কয়েকদিনের মধ্যেই দেশটিতে আরও সেনা মোতায়েনের একটি বিল পার্লামেন্টের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে নেয় আঙ্কারা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার তুরস্কের ২৩ জন সেনা সদস্যসহ পাঁচটি সাঁজোয়া যানের একটি দল দোহায় পৌঁছেছে।
তুরস্কের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে "দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী সেনা প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে"। কাতারে ইতোমধ্যেই তুরস্কের ৮৮ সেনা সদস্য অবস্থান করছে, বলছে সংবাদমাধ্যম 'দ্য হারিয়েত'। খরব বিবিসি।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
কাতার ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে এরদোয়ানের আলোচনা
23-06-2017 02:31AM