তুর্কি সংসদে জরুরি অবস্থা জারি করা নিয়ে বিতর্ক

  17-07-2017 03:09PM


পিএনএস ডেস্ক: ক্ষমতাসীন একে পাটির একটি সূত্র আনাডোলু এজেন্সিকে বলেছে, সোমবার তুর্কি জাতীয় সংসদে দেশটিতে জরুরী অবস্থা আরো ৩ মাস বাড়ানো হবে কিনা এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এবং প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম তাদের ভাষণে তুরস্কে জরুরী অবস্থা আরো ৩ মাস বাড়ানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

মিডিয়ার সাথে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বুধবার হতে জরুরী অবস্থা আরো ৩ মাস বাড়ানোর আশা করছে সবাই।

সাধারণ অধিবেশনে এই পদক্ষেপের পক্ষে ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি সমর্থন প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়। এ ব্যর্থ অভ্যুত্থানে ২৫০ জন নিহত এবং প্রায় ২১৯৬ জন আহত হয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান ২০১৬ সালের ২০ জুলাই তুরস্কে জরুরী অবস্থা জারি করে।

সংবিধানের ৯১ ধারা অনুযায়ী জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে প্রেসিডেন্টের অধীনে মন্ত্রিপরিষদের অধিকার আছে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপে সংবিধিবদ্ধ আইন জারি করার। এই নির্দেশগুলি প্রথমে সরকারী গেজেটে প্রকাশ করা হয় এবং তারপর অনুমোদনের জন্য সংসদে পেশ করা হবে।

এছাড়া লেবাননের শান্তিরক্ষা রক্ষায় নিয়োজিত ইউনাইটেড নেশনস ইন্টেরিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) নামক বাহিনীতে তুর্কি সৈন্যদের দায়িত্বের মেয়াদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডেপুটিরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচন করবেন।

তুর্কি সংসদ ইউনিফিলে তুর্কি সৈন্যদের দায়িত্ব পালনের প্রথম অনুমোদন দেয় ২০১৬ সালে। এখন লেবাননে তুর্কি সৈন্যদের দায়িত্বের মেয়াদ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ থেকে ৩১ অক্টোবর ২০১৮ পর্যন্ত বৃদ্ধির করা হবে।

লেবাননে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউনিফিল) ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় যখন ইসরাইল লেবানন থেকে সেন্য প্রত্যাহার করেছিল। ইউনিফিল বাহিনী উদ্দেশ্য ছিল লেবানন সরকারকে নিরাপত্তা প্রদানসহ তার কর্তৃত্ব পুনর্নির্মাণ সাহায্য করা।

ইউনিফিল শান্তিরক্ষী বাহিনীতে ৪০টি দেশের ১০হাজার ৬০০ সৈন্য আছে।

জাতিসংঘ অনুমোদিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শান্তিরক্ষা মিশন সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ও মালিতে সৈন্য মোতায়েন করেছে। সেখানে তুরস্ক সৈন্য পাঠাবে কিনা সে বিষয়েও সংসদে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, পার্লামেন্টের সাংবিধানিক কমিটি বেশ কয়েকজন সংসদীয় উপদেষ্টার পরিবর্তনের বিষয়ে বিতর্ক অব্যাহত রাখবে।

২৪ জুলাইয়ের পর সাধারণ অধিবেশনের এজেন্ডাতে কিছু পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি এবং বিরোধীদল এমএইচপি পরিবর্তনগুলো আনার মাধ্যমে সংসদের কার্যকরিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে একমত হয়েছেন।

এপ্রিল গণভোটের মাধ্যমে তুর্কি ভোটাররা সাংবিধানিক পরিবর্তনের একটি প্যাকেজ অনুমোদনসহ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রীর পদ বাতিল এবং রাষ্ট্রপতিকে রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার অনুমতি দেয়। সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন