‌বাংলাদেশি খেদাও!

  19-07-2017 09:37PM

পিএনএস ডেস্ক : ভারতের নয়ডায় পরিচারিকা নিয়ে সংঘর্ষের জেরে ‘বাংলাদেশি খেদাও’ অভিযানে নেমেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তার ফলে পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার থেকে নয়ডায় কাজ করতে যাওয়া প্রায় ৪০টি পরিবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যে পথে এসে দাঁড়িয়েছে। সংখ্যালঘু ও বাংলাভাষী হওয়ায় তাদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই খেদাও অভিযানে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা মদদ দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ।

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হেনস্থার অভিযোগ কানে যেতে তৎপর হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নির্যাতিত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলতে তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর পাশাপাশি মমতা রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে দায়িত্ব দিয়েছেন বিষয়টি বিস্তারিত জেনে তাকে জানাতে। প্রয়োজনে সংসদে বিষয়টি নিয়ে সরব হতেও বলা হয়েছে ওই সাংসদকে।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। নয়ডার একটি বাড়ির বাসিন্দা মিতুল শেট্টির বিরুদ্ধে তার পরিচারিকা জোহরা বিবিকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। পরের দিন সকালে জোহরার স্বামী স্ত্রীর খোঁজে আত্মীয় ও পড়শিদের নিয়ে এসে ভিতরে ঢুকতে চাইলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। অভিযোগ জানায় দু’পক্ষই। শেট্টিরা জোহরার নামে ১০ দশ হাজার টাকা চুরি ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করে।

ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জোহরার অভিযোগ, তাকে সারা রাত আটকে রেখে মারধরও করা হয়। সকালে সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান তিনি।

জোহরার অভিযোগের সত্যতা মানতে রাজি নয় উত্তরপ্রদেশ তথা কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি। তাদের দাবি, শুধু শেট্টি পরিবারের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রয়োজনে শেট্টি পরিবারের হয়ে আইনি লড়াই করার পক্ষে যেতে চান স্থানীয় সাংসদ মহেশ শর্মা।

মদনলাল খুরানা যখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন এ ভাবে বাংলাদেশি তাড়াও অভিযানে নেমেছিল বিজেপি সরকার। বাংলাদেশি অভিযোগে বহু লোকের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছিল। সেই ভয় আবার ফিরে আসছে খেটে খাওয়া বাঙালি পরিবারগুলির ভিতরে।- আনন্দবাজার

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন