সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে

  20-07-2017 03:49PM

পিএনএস ডেস্ক:বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। সন্ত্রাসী সন্দেহে অনেক মানুষকে আটক করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সন্ত্রাস বিরোধী সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। তবে মাঝে মধ্যেই বিরোধী রাজনীতিক ও স্থানীয় জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর উগ্রতা (ভায়োলেন্স) প্রদর্শন করে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বার্ষিক সন্ত্রাস বিষয়ক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ বিষয়ে এসব কথা বলেছে। ২০১৬ সালে ঘটে যাওয়া ঘটনার ওপর ওই রিপোর্ট প্রণয়ন করা হয়েছে। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘২০১৬ কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেরোরিজম’। এতে বাংলাদেশ অংশে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক হামলার দায় স্বীকার করেছে আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (একিইআইএস) ও আইসিস।

সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের উগ্রবাদী আদর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের অনুসারী সংগ্রহ করছে। আইসিস ও একিউআইএসের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন অনেক প্রকাশনায়, ভিডিওতে ও ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ রিপোর্টে ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সন্ত্রাসী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে প্রথমেই এসেছে গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার প্রসঙ্গ। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে ১৮টি সন্ত্রাসী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইসিস। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল ১লা জুলাই হলি আর্টিজান বেকারির হামলা। এটি একটি রেস্তোরাঁ, যা কূটনৈতিক এলাকায় অবস্থিত এবং এখাবে বেশির ভাগই বিদেশীরা যাতায়াত করতেন।

বাংলাদেশী ৫ হামলাকারী সেখানে বন্দুক, বিস্ফোরক ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে দু’পুলিশ কর্মকর্তা ও ২০ জিমিকে হত্যা করে। জিম্মিদের বেশির ভাগই ছিলেন বিদেশী নাগরিক। এর মধ্যে ৯ জন ইতালির। ৭ জন জাপানের। একজন মার্কিন। একজন ভারতীয় ও দু’জন বাংলাদেশী। যেসব মানুষ পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করে নিজেকে মুসলিম প্রমাণ করতে পেরেছেন হামলাকারীরা তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। এ ছাড়া বাকি যেসব হামলা হয়েছে তার বেশির ভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অথবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন ব্যক্তির ওপর। এক্ষেত্রে বেশির ভাগই কোপানো হয়েছে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন