‘মুসলিমরা না থাকলে আমরা বাঁচতাম না’

  21-08-2017 01:18PM


পিএনএস ডেস্ক: ভারতে কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় একদল হিন্দু সাধুকে বাঁচিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন স্থানীয় মুসলিমরা। দুর্ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

উৎকল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন গোরুয়াধারী ভগবান দাস মহারাজ। তার সঙ্গে ছিলেন আরো ৬ শিষ্য। মধ্যপ্রদেশের মোরানা থেকে হরিদ্বার যাচ্ছিলেন তারা। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

ভগবান দাস জানিয়েছেন, ‘আমার মনে আছে আমার মাথা সামনের সিটে ঢুকে গিয়েছিল। প্রায় দুটো সিট এগিয়ে পড়েছিলাম আমি। খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। সবদিক থেকে চিৎকার ভেসে আসছিল। যদি ওই এলাকায় মুসলিমরা না থাকতেন, তাহলে আমরা বাঁচতাম না। ওরা দুর্ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ট্রেন থেকে টেনে বের করে। আমাদের পানি এনে দেয়। আমাদের জন্য চিকিৎসকেরও ব্যবস্থা করে। আমরা ওদের এই ব্যবহার ভুলব না।’

ওই দলের ৩ সন্ন্যাসী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

আর এক সন্ন্যাসী মণি দাস জানিয়েছেন, ‘আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। দুর্ঘটনার পর আমরা তার প্রভাব দেখেছি। মানুষ হিন্দু-মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু দুই দলের মধ্যে সবসময় ভালোবাসা থাকে।’

মুজফ্ফরনগরের খাতাউলির কাছে কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে মেরঠের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে জানিয়ে দেয়া হয়- তারা যেন দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য এমারজেন্সি ওয়ার্ড তৈরি রাখেন।

সন্ন্যাসী হাকিম দাস জানিয়েছেন, ‘আমাদের বগিতে অনেক শিশু ও মহিলা ছিলেন। আমরা গল্প করছিলাম। হঠাৎ আমাদের বগি উলটে যায়। প্রথমে তো আমরা বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে।’

মেরঠের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. রাজকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘২৩ জনেরও বেশি আহতকে মেরঠের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬টি সরকারি ও ২৬টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে যায়।’ সূত্র: কলকাতা২৪

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন