ইসরাইলের দীর্ঘস্থায়ী বৈরী মনোভাবের নিন্দা হামাস ও ফাতাহ’র

  22-08-2017 02:39PM


পিএনএস ডেস্ক: আজ থেকে ৪৮ বছর আগে ডেনিস মাইকেল রোহান নামে অস্ট্রেলিয়ার একজন চরমপন্থী ইহুদি পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেন।

ওই হামলার ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার আলাদা বিবৃতিতে প্যালেস্টাইন ফাতাহ আন্দোলন ও হামাস উভয়েই আল আকসা মসজিদ নিয়ে ইসরাইলের দীর্ঘস্থায়ী বৈরী মনোভাবের নিন্দা জানান।

আলাদা বিবৃতিতে তারা পূর্ব জেরুজালেম, বিশেষকরে আল-আকসার দখলদারিত্বের বিষয়ে যথাযথ দায়িত্ব পালনের জন্য বিশ্বব্যাপী আরব ও মুসলিম জাহানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

পশ্চিম তীর-ভিত্তিক ফাতাহ আন্দোলন তার বিবৃতিতে বলে, ‘একটি দখলদার শক্তি হিসাবে আল আকসা ও এর আশেপাশের এলাকাসহ পূর্ব জেরুজালেমের ওপর ইসরাইলের কোনো ধরনের সার্বভৌমত্ব নেই।’

ফাতাহ’র বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আল আকসাসহ জেরুজালেম ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ; যা ১৯৬৭ সাল ইসরাইল দখল করে নেয়।’

হামাস তার বিবৃতিতে বলে, ‘পবিত্র মসজিদ কমপ্লেক্সটি জায়নবাদীদের দখলদারিত্বের ভারে ক্রমাগত আর্তনাদ করছে। ইহুদিদের এই দখলদারিত্বের মাধ্যমে আমাদের পবিত্র স্থানগুলোকে অবমাননা করা হচ্ছে, আমাদের ধর্মীয় তীর্থস্থানগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে এবং আল-আকসা মসজিদের নিচে ক্রমাগত টানেল খনন করে চলছে।’

হামাস তার বিবৃতিতে ইসরাইলের চরম ডানপন্থী দখলদার সরকারের কু অভিসন্ধির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের ‘দৃঢ়তার’ প্রশংসা করেন।

এতে বলা হয়, ‘ইহুদিবাদী শত্রুদের অপরাধ এবং আমাদের জনগণ, ভূমি ও পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে তাদের ক্রমাগত লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদেরকে একত্রিত হতে হবে এবং জিয়ানিস্ট সত্তাকে স্বীকৃতির জন্য আমাদের নিষেধাজ্ঞাকে জোরদার করতে হবে।’

১৯৬৯ সালে ২১ আগস্ট তারিখে রোহান পবিত্র মসজিদটিতে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে ঐতিহাসিক মসজিদটির বেশ কয়েকটি অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। এতে এক হাজার বছরের পুরাতন কাঠ ও আইভরি মিম্বর ধ্বংস হয়ে যায়।

এছাড়াও অগ্নিকাণ্ডে মুসলিম খলিফা ওমর বিন আল-খাত্তাবের মিহরাব, মসজিদটির বহুমুখী অলঙ্কৃত অভ্যন্তরীণ অংশ এবং সোনালী কাঠের গম্বুজের একটি বৃহৎ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।

ওই হামলার দুই দিন পরে রোহানকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হয় ইসরাইল। গ্রেপ্তারের পর রোহান দাবি করেন যে, তিনি গুরুতর মানসিক অসুস্থতার শিকার হয়ে এটি ঘটিয়েছিলেন। পরে তাকে তার দেশ অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল।

পবিত্র মসজিদটিতে আগুন দেয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হয়ে ইসলামী সম্মেলনের বহুপাক্ষিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এটির নাম পরিবর্তন করে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) রাখা হয়। সূত্র: আনাদুলো এজেন্সি

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন