কিমকে হত্যা করে সমুদ্রে ফেলে দেয়া হয়!

  23-08-2017 07:56PM

পিএনএস ডেস্ক : সুইডেনের সাংবাদিক কিম ওয়ালকে হত্যা করে তার লাশের সঙ্গে ধাতব পদার্থ বেঁধে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। যাতে তা আর ভেসে উঠতে না পারে।

কিন্তু ঠিকই কিম ওয়ালের লাশ ভেসে উঠল। তার সঙ্গে মাথা নেই। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নেই। সব কেটে ফেলা হয়েছে।

বুধবার সকালে তাকে এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করার পর লাশ সনাক্ত করা হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ডেনমার্কের পুলিশ। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে ডেনমার্ক, সুইডেনে।

কিম ওয়ালের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সুইডেনের স্কানিয়া অঞ্চলের ট্রেলেবর্গে। তিনি পড়াশোনা করেছেন লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্সে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে। নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে সাংবাদিকতা ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে তিনি গ্রাজুয়েশন করছিলেন। তিনি ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে দ্য গার্ডিয়ান, টাইম ম্যাগাজিন ও দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসে। ছিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক করেসপন্ডেন্স। অভিযোগ আছে, তিনি ডেনমার্কের একটি সাবমেরিনের মালিক ও উদ্ভাবক পিটার ম্যাডসেনের (৪৬) সাবমেরিনে ছিলেন। তাতে থাকা অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়। এরপর তার মৃতদেহের সঙ্গে ধাবত পদার্থ বেঁধে ফেলে দেয়া হয় সমুদ্রে। তাকে হত্যার দায়ে পিটারকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।

লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট এর খবরে বলা হয়, সোমবার কিম ওয়ালের মৃতদেহ পাওয়া যায়। ওদিকে পিটার ম্যাডসেন আদালতে বলেছেন, দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন কিম ওয়াল। এরপর তাকে সমুদ্রে ‘সমাহিত’ করা হয় তাকে। তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, কিম ওয়ালকে তিনি কোপেনহেগেনে জীবিত নামিয়ে দিয়েছেন। তার সে বক্তব্য থেকে সরে এসে এবার দুর্ঘটনায় নিহতের কথা বললেন পিটার ম্যাডসেন। কিমকে হত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ১০ই আগস্ট ১৮ এম ইউসি৩ নটিলাস সাবমেরিনে করে সমুদ্রপথে বিদেশ ভ্রমণে কিম ওয়াল ও পিটার ম্যাডসেন বের হন। এর পর থেকেই কিম ছিলেন নিখোঁজ। ১১ই আগস্ট ওই সাবমেরিনটি নষ্ট হয়ে ডুবে যায়। তা থেকে পিটার ম্যাডসেনকে উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ কোপেনেহেগেনের কোগে বে উপসাগরে কিম ওয়ালের মৃতদেহ খুঁজে পেতে ডেনমার্ক ও সুইডেনের নৌ কর্তৃপক্ষ ডুবুরি, সোনার ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তারা দু’দেশের মধ্যবর্তী ওরেসান্ড প্রণালীতেও উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে কিম ওয়ালের মৃতদেহ দেখতে পান একজন সাইকেল চালক।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন