আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি

  23-09-2017 03:38PM


পিএনএস ডেস্ক: মার্কিন প্রশাসন থেকে আরো ৩০০০ অতিরিক্ত সেনা প্রেরণের প্রাক্কালে আফগানিস্তানের সামরিক ও পুলিশসহ সকল নিরাপত্তার বাহিনীর মধ্যে ঘাটতির বিষয়টি আবারো সামনে উঠে এসেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার তার আফগান প্রতিপক্ষ আশরাফ গনির সাথে নিউ ইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘ অধিবেশনের পার্শ্ববৈঠকে সাক্ষাৎ করেন যেখানে উভয়ই মার্কিন সেনা সংখ্যাবৃদ্ধির পরিকল্পনার ব্যাপারে আশাবাদ প্রকাশ করেন।

স্পেশাল ইনস্পেক্টর জেনারেল ফর আফগানিস্তান রিকন্সট্রাকশন (সিগার) এর বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে ৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে এবং এখনো বছরে ৪ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করছে। এ সত্ত্বেও, যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে তালিবান সরকার উৎখাত করার পর ১৬ বছর পরেও আল-কায়েদার একসময়কার আশ্রয়স্থলটিতে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী তালেবান যোদ্ধাদের অগ্রগতি প্রতিরোধে ধুঁকছে।

মার্কিন হিসেব অনুযায়ী, আফগানিস্তানের ৬০ শতাংশেরও কম এলাকা সরকারি নিয়ন্ত্রণে আছে এবং দেশের প্রায় অর্ধেক অঞ্চলে এখনো যুদ্ধ চলছে বা তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে আছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০১ সালের আক্রমণের পর থেকে আফগানিস্তানে মার্কিন বাহিনী সামরিক অভিযান চালানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে এবং আফগান সেনা ও পুলিশের মান উন্নয়নে কাজ খুব কমই করেছে। যুদ্ধের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো যখন আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর মান গড়ে তোলার চেষ্টা করে তখন তারা আফগানিস্তানের সিনিয়র কর্মকর্তাদের এই প্রক্রিয়ায় জড়িত করেনি।

আফগান নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ হাবিব ওয়ারদাক কাবুল থেকে আল জাজিরাকে বলেন, ‘প্রতিবেদনটি আমাদের মোটেও অবাক করে না। আমরা এখন বহু বছর ধরে এই অনিয়মের কথা শুনেছি, এবং আফগানিস্তানে অনেক লোক সাক্ষী হয়েছে এই অনিয়ম ও অদক্ষতার।’

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম আফগান প্রাসঙ্গিকতায় শুধুমাত্র প্রশ্নবিদ্ধই ছিল না, এমনকি তারা আফগান পুলিশের মধ্যে নিরক্ষরতার উচ্চ মাত্রার বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছে।’

সিগার প্রধান, জন সোপকো বলেন, একজন মার্কিন কর্মকর্তা আফগানিস্তানের কর্মকর্তাদের শেখাতে গিয়ে ‘কপস’ এবং ‘এন.সি.আই.এস’ এর মত টিভি অনুষ্ঠানের দ্বারস্থ হয়েছেন।

সিগার জানায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখ থেকে নভেম্বর ১২ তারিখের মধ্যে ৬৭৮৫ জন আফগান সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয় এবং আরো ১১,৭৭৭ জন আহত হয়। এই সংখ্যা ২০১৫ সালের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশী ছিল।

তবুও সোপকো আফগানদের ‘কঠোর সংগ্রাম এবং বিভিন্ন উপায়ে উন্নতির’ জন্য প্রশংসা করেন কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোকে তাদের সাহায্য করার উপর জোর দেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন