পারমাণবিক যুদ্ধের হিম আতঙ্ক

  24-09-2017 02:33PM

পিএনএস ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল দিয়ে উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান। এর মধ্য দিয়ে উত্তর কোরিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শন করলো যুক্তরাষ্ট্র। একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প-উত্তর কেরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর এমন ঘটনায় ওই অঞ্চলে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

পারমাণবিক যুদ্ধের এক গা শিউরে উঠা আতঙ্ক স্পর্শ করে যাচ্ছে পুরো অঞ্চলজুড়ে। পেন্টাগন বলেছে, যে কোনো প্রকার হুমকিকে পরাজিত করার সামরিক শক্তি যে যুক্তরাষ্ট্রের আছে তার একটা প্রদর্শনী দেয়াই তাদের মূল উদ্দেশ্য। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, একুশ শতাব্দীতে সুদূর উত্তরে মার্কিন ফাইটার বা বোমারু বিমান পৌঁছানোর ঘটনা এটিই প্রথম বলেও জানিয়েছে পেন্টাগন।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ক্রমাগত বেড়ে চলা উত্তেজনা অবশেষে বোমারু বিমান ও জেট ফাইটারের মতো যুদ্ধাস্ত্রের দিকে মোড় নিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলে মার্কিন বোমারু বিমানকে জেট ফাইটারের প্রহরায় নিয়ে যাবার পর দুই দেশের মধ্যে এখন বিরাজ করছে ভীষণ এক দম বন্ধ পরিস্থিতি। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়েছে তা বোঝানোই এই শক্তি প্রদর্শনীর একটা উদ্দেশ্য।

এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইউং হো, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ‘উন্মাদ’ বলে উল্লেখ করেন এবং পরমাণু অস্ত্র বানানোর অধিকার যে তাদের আছে সে কথাও মনে করিয়ে দেন। হো আরো বলেছেন, ট্রাম্প নিজেই একটা আত্মঘাতী মিশনে নেমেছেন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের এই আত্মঘাতী হামলার কারণে মার্কিন বেসামরিক নাগরিকের যদি কোনো ক্ষতি হয় তাহলে এই ক্ষেত্রে দায়ী থাকবে ট্রাম্প। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা, দুরূহ শ্রম, সাধনা ও সংগ্রামের পর উত্তর কোরিয়া অবশেষে পরমাণু অস্ত্র প্রাপ্তির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে, তাদের উপরে যত কঠিন অবরোধই দেয়া হোক না কেন এখন আর তারা যে সরে আসবে না সেই সংকল্পও দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন হো। তিনি ডনাল্ড ট্রাম্পকে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত লোক বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন।

উত্তর কোরিয়ার মন্ত্রীর এসব কথার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় সামরিক শক্তি ব্যবহারের প্রস্তুতি যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রয়েছে। এই বাস্তবতায়, দুই দেশের মধ্যে উত্তেজিত কথাবার্তা বিনিময়ের পর বোমারু বিমান পাঠানোর এই ঘটনায় উত্তেজনা এখন নিয়েছে ভিন্ন এক মাত্রা।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন