সৌদি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি ইরানপন্থী গ্রুপের

  26-09-2017 08:35AM



পিএনএস ডেস্ক: সৌদি আরবের সেনাদলের একটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার দাবি করেছে ইয়েমেনে ইরানপন্থী একটি গ্রুপ। দক্ষিণ পশ্চিম ইয়েমেনের তায়েজ প্রদেশে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়। হামলায় জেলজাল-২ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে।

ইয়েমেনের আল-মাশিরাহ চ্যানেল সোমবার এ খবর দিয়েছে। এ ছাড়া, সৌদি আরবের জিজান প্রদেশের জিবাল কায়েসের কাছে একটি ঘাঁটিতেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার দাবি করেছে ওই গ্রুপটি।

২০১৫ সালের ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ করে সৌদি জোট।
ম্যানচেস্টারে মুসলিম সার্জনের ওপর ছুরি হামলা

টেলিগ্রাফ
ইল্যান্ডের বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের অলট্রিনশাম শহরে এক মুসলিম সার্জনকে ছুরিকাঘাত করেছে ইসলাম বিদ্বেষীরা। ঘটনাটিকে হেট ক্রাইম বা ঘৃণাজনিত অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। গত রোববার সন্ধ্যায় অলট্রিনশাম শহরের গ্রোভ লেনে মসজিদের সামনে ডাক্তার নাসের কুর্দিকে পেছন থেকে আচমক ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে সৌভাগ্যবশত গুরুতর আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।

স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাসায় ফিরেছেন ওই সার্জন। তার সহকর্মী ও অলট্রিনশাম অ্যান্ড হ্যালে মুসলিম অ্যাসেসিয়েশনের মুখপাত্র ডক্টর খালিদ আনিস বলেন, ডাক্তার নাসের কুর্দি খুবই সৌভাগ্যবান। তিনি বলেন, হামলাটি এমন ছিল যে, মারাত্মভাবে আহত হতে পারতেন তিনি। পেছন থেকে আচমকা তার ঘাড়ে ছুরি চালানো হয়। স্থানীয় কমিউনিটিতে খুবই জনপ্রিয় নাসের কুর্দি।

বৃহত্তর ম্যানচেস্টারের পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পর ওই এলাকা থেকে দুই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তা রুশ জ্যাকসন বলেন, স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এটি খুবই ন্যক্করজনক ও বিনা উসকানিতে হামলা। আরো এক সন্দেহভাজন হামলাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি। স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণের আশঙ্কা বালি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৫০ হাজার মানুষ
গার্ডিয়ান ও সিএনএন

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে আগ্নেয়গিরির সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় এরই মধ্যে দ্বীপ ও এর আশপাশের এলাকা থেকে ৫০ হাজার লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। মাউন্ট আগং আগ্নেয়গিরি এলাকায় যদি অগ্ন্যুৎপাত হয় তা হবে ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম।

ইন্দোনেশিয়ার রেড ক্রস (আইআরসি) বলেছে, বালির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আগ্নেয়গিরিপ্রবণ ১২ কিলোমিটার এলাকা থেকে ওই সব লোক সরানো হয়েছে। সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপনারা সক্রিয় আগ্নেয়গিরি এলাকায় অবস্থান করছেন।’ সেই সাথে কয়েক শ’ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করার কথাও জানিয়েছে আইআরসি। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় আগ্নেয়গিরি সতর্ক সেন্টার এক বিবৃতিতে বলেছে, পার্বত্য এলাকায় ভূতাত্ত্বিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং সম্ভবত এটি বিস্ফোরিত হতে পারে।

বালি দ্বীপ একটি জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটকদের জন্য। দেশটির কনস্যুলেট অফিস তাদের নাগরিকদের জন্য বাইরের কাজকর্ম এবং বিমানে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে। বালির পর্যটক সংস্থা বলেছে, এখন দ্বীপের আশপাশে চলাচলকারী যানবাহনে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে লোকজনকে প্রস্তুতি হিসেবে পর্যাপ্ত মুখোশ রাখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৬৩ সালে এক আগ্নেয়গিরির ফলে বালি দ্বীপে অন্তত দুই হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটে। এ ছাড়া দ্বীপের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে যায়।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন