সু চিকে রোহিঙ্গাশিবির পরিদর্শনের আহ্বান

  27-09-2017 02:30AM



পিএনএস ডেস্ক: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দমন-নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের দুর্দশা দেখতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চিকে কক্সবাজার সফরের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা।

মঙ্গলবার এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বিশ্ব সংস্থাটির সাতজন বিশেষজ্ঞ।জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি একথা জানানো হয়।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে মিয়ানমার সরকারকে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন তাদেরকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে বলেও এতে বলা হয়।রাখাইনে ৩০টি পুলিশ-সেনা চৌকিতে হামলার জের ধরে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরুর এক মাস পর এ বিবৃতি দেয়া হলো।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'আমরা পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া ও রাখাইন রাজ্যে থেকে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার জন্য অং সান সু চিকে আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মিয়ানমার সরকার বলছে যে তারা এতে আগ্রহী।'জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নকে 'জাতিগত নিধনের' উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'রোহিঙ্গাদের গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ, নির্যাতন ও অপব্যবহার, যৌন সহিংসতা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা, দুই শতাধিক রোহিঙ্গা গ্রাম পোড়ানো এবং তাণ্ডব চালানোর মতো ঘটনা রয়েছে। কথিত রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি'র (আরসা) কাজের জন্য পুরো রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মূল্য দিতে পারে না।'

ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা বিশেষজ্ঞরা হলেন-মিয়ানমারে জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক বিশেষ দূত ইয়াংঘি লি, বিচারবহির্ভূত, সংক্ষিপ্ত বা নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড বিষয়ক বিশেষ দূত অ্যাগনেস কলামার্ড, সংখ্যালঘু বিষয়ক বিশেষ দূত ফার্নান্দ ডে ভেরেনেস, গৃহায়ন ও জীবনযাত্রা বিষয়ক দূত লেইলানি ফারহা, অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার বিষয়ক দূত সিসিলিয়া জিমেনেজ, সমসাময়িক বর্ণবাদ বিশেষজ্ঞ মুতুমা রুতেরে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের স্বাধীনতা বিষয়ক বিশেষ দূত আহমেদ শাহিদ।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'মিয়ানমার সরকার সকল আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সাথে সহযোগিতা করতে হবে, মানবিক সহায়তা প্রদান এবং প্রয়োজনে জনসংখ্যার সহায়তা দেয়ার জন্য তাদের দায়িত্ব পালনে তাদের প্রচেষ্টায় সন্ত্রাসবাদকে সহায়তা করার জন্য তাদের অভিযোগের পরিবর্তে সবাইকে সহযোগিতা করা উচিত।'

বিশেষজ্ঞরা বলেন, "জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে বিবৃতির বাইরে যেতে হবে এবং রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তথাকথিত 'অসমাপ্ত কর্মকাণ্ড' শেষ করার আগেই সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীকে থামানোর জন্য শক্তিশালী উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।"

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন