পিএনএস ডেস্ক : আদালত অবমাননার অভিযোগে ইমরান খানকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার এই পরোয়ানা জারি করে ইসিপি জানিয়েছে, বার বার নির্দেশ দেওয়া সত্ত্বেও আদালতে হাজিরা দিতে যাননি তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রধান ইমরান।
এমনকী, এ বিষয়ে লিখিতভাবে ক্ষমাও চাননি তিনি। ইমরানের পাশাপাশি দলের আরও এক নেতা আকবর এস বাবরের বিরুদ্ধেও একই নির্দেশ দিয়েছে ইসিপি।
আদালত অবমাননার অভিযোগে ইমরানের বিরুদ্ধে আগেই মামলা চলছিল। সেই মামলাতেই ইমরান খান ও আকবরকে গ্রেপ্তার করে আগামী ২৬ অক্টোবর আদালতে পরবর্তী শুনানির সময় হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসিপি। ‘ডন নিউজ’ জানিয়েছে, ইসিপি-র এই নির্দেশকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে দলের পক্ষ থেকে চ্যালেঞ্জ জানানো বলে জানিয়েছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর মুখপাত্র নাইমুল হক।
শুনানিতে অনুপস্থিত থাকার জন্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন যোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল ইসিপি। কিন্তু, সেই পরোয়ানার বিরুদ্ধে ইমরানের দলের আবেদনের ভিত্তি আদালত তা বাতিল করে দেয়।
চলতি বছরের আগস্টেই ওই মামলায় ইমরানকে দ্বিতীয় শো-কজ নোটিস পাঠিয়েছিল ইসিপি। ইসিপি জানিয়েছে, এর আগেও তাদের শো-কজের জবাব দেননি ইমরান।
তবে এই মামলায় ইসিপি-র এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন ইমরান খান। ইসিপি তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা তার জবাবে গত ১০ আগস্ট ইসিপি জানিয়েছিল, অবমাননার প্রশ্নে এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার আইনি অধিকার কমিশনের রয়েছে।
এর পরই ইমরানের বিরুদ্ধে শো-কজ নোটিস পাঠিয়ে ২৩ আগস্টের মধ্যে তার জবাব দিতে বলে কমিশন। এর পর দলের পক্ষ থেকে কমিশনের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের সামনে হাজির দেন বাবর আওয়ান। সেখানে ক্ষমাপ্রার্থনা করে বাবরের আর্জি ছিল, এই মামলায় চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য তাদের কিছুটা সময় দেওয়া হোক। তবে ক্ষমাপ্রার্থনা বাবরের ব্যক্তিগত মতামতের ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ইমরান। তিনি নিজে কমিশনের ক্ষমাপ্রার্থী নন বলেও জানিয়েছিলেন।
পিএনএস/জে এ /মোহন
ইমরানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
12-10-2017 09:46PM