মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে: অ্যামনেস্টি

  18-10-2017 10:57AM

পিএনএস ডেস্ক:মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটেছে। এতে ওই দেশের রোহিঙ্গাদের অর্ধেক দেশছাড়া হয়েছে। রাখাইন রাজ্যের পাঁচ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী, শিশু এবং পুরুষ পালিয়ে গেছেন।

২৫ আগস্ট মুসলিম জঙ্গিগোষ্ঠী একযোগে রাখাইন রাজ্যে ৩০টি পুলিশ ও সেনাছাউনিতে হামলার চালানোর পর জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার নামে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ভয়াবহ সহিংসতা চালায় বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

‘মাই ওয়ার্ল্ড ইজ ফিনিশড’: রোহিঙ্গা টারগেটেড এগেনেস্ট হিউম্যানিটি ইন মিয়ানমার’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী রাখাইন রাজ্যে ধারাবাহিক হত্যা, ধর্ষণ এবং আগুনে পোড়ানোর মতো ঘটনা ঘটিয়েছে।

প্রতিবেদনে অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বলা হয়, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পশ্চিম কমান্ড, ৩৩তম লাইট ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন এবং বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সমন্বিতভাবে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা চালায়।

এবিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরানা হাসান বলেন, মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী প্রতিশোধ নিতে রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ নৃশংসতা চালিয়েছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশ থেকে স্থায়ীভাবে বিতড়নের জন্য তারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে জঘন্যতম গণহত্যা চালানো হয়েছে।

তিরানা হাসান বলেন, মানবতাবিরোধী এ অপরাধের জন্য দোষীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। অভ্যন্তরীণ তদন্তের কথা বলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এই মানবতাবিরাধী অপরাধের দায় এড়াতে পারে না।

তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী প্রধান দ্য কমান্ডার-ইন-চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের উদ্দেশে সেনাবাহিনীর এই গণহত্যা এখনই বন্ধের আহ্বান জানান এবং দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে বলেন।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন