আমেরিকাকে একঘরে করার পরিকল্পনা

  18-10-2017 11:37AM

পিএনএস ডেস্ক: ইরান সরকারের মুখপাত্র মোহাম্মাদ বাকের নওবাখ্ত বলেছেন, আমেরিকাকে আরও বেশি একঘরে করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেছেন।

মোহাম্মাদ নওবাখ্ত আরও বলেছেন, ইরানের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণ ও আমেরিকাকে আরও বেশি একঘরে করার লক্ষ্যে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তিনি বলেন, ইরানের যৌক্তিক নীতির কারণে ট্রাম্প একঘরে হয়ে পড়েছে।

ট্রাম্পের নীতির সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতির পার্থক্য রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ট্রাম্পের ইরান বিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সৌদি নেতারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নেন না। সৌদি আরবকে নীতি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন নওবাখ্ত। কুর্দিস্তানের সঙ্গে ইরানের আকাশ ও স্থল সীমান্ত বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ইরাকের বৈধ সরকারের আহ্বানে স্বল্প সময়ের জন্য তা বন্ধ রাখা হয়েছে।

ট্রাম্পের ধ্বংসাত্মক তৎপরতা থামান: আন্তর্জাতিক সমাজকে ইরান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যাতে ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে অবজ্ঞা করতে না পারেন সেজন্য ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। তেহরান বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিকেও বিদ্রূপ করার চেষ্টা করছেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত গোলামআলী খোশরো এই সংস্থার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ক কমিটির এক সভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা একটি আন্তর্জাতিক দলিল; কাজেই একক কোনো দেশের পক্ষে এটি বাতিল করা সম্ভব নয়।

ইরান ওই সমঝোতা মেনে চলছে কিনা সে সংক্রান্ত স্বীকৃতি দিতে সম্প্রতি অস্বীকার করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি। ইরানের বিরুদ্ধে আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে নাকি এই সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ট্রাম্প মার্কিন কংগ্রেসকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে গোলামআলী খোশরো বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির ওপর আরোপিত সাময়িক সীমাবদ্ধতাকে স্থায়ী রূপ দেয়ার যে আবেদন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন তা শুধু পরমাণু সমঝোতার চেতনা পরিপন্থি নয় সেইসঙ্গে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটির সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।

ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ যখন গত ১৩ অক্টোবর তার সর্বশেষ প্রতিবেদনেও পরমাণু সমঝোতার প্রতি ইরানের অবিচল থাকার কথা নিশ্চিত করেছে তখন এই সমঝোতাকে ধ্বংস করার তৎপরতায় মেতে উঠেছে আমেরিকা।

পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না উল্লেখ করে খোশরো বলেন, সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের স্বার্থ রক্ষিত না হলে এটি থেকে ইরান নিজেই বেরিয়ে যাবে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন