ভারতে দূষণে মারা গেছে ২৫ লাখ মানুষ

  20-10-2017 01:47PM

পিএনএস ডেস্ক : ভারতে ২০১৫ সালে বায়ুদূষণের কারণে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। চিকিৎসা সাময়িকী দ্য ল্যানসেট কমিশন অন পলিউশন অ্যান্ড হেলথের মতে এটি বিশ্বে সর্বোচ্চ।

এ ধরনের মৃত্যুর দিকে থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। এ সংখ্যা ১৮ লাখ।

৪০ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীর পরিচালিত একটি গবেষণা থেকে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। তাঁরা ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশনের গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ শীর্ষক সমীক্ষা থেকে তথ্য-উপাত্ত নিয়েছেন বলে এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে যত মৃত্যু হয়, এর মধ্যে প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় দূষণে। উন্নয়নশীল দেশে এই মৃতের হার বেশি। বিশ্বে দূষণে ৯০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়, যা এইডস, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারের চেয়ে তিনগুণ বেশি।

পরিবেশবাদী গ্রুপ পিউর আর্থের একজন লেখক ও উপদেষ্টা কার্তি সানদিল্যা বলেন, বিশ্বায়ন, খনির খোঁড়াখুঁড়ি ও কল-কারখানার কাজ তুলনামূলকভাবে গরিব দেশগুলোতে স্থানান্তরিত হয়েছে, যেখানে পরিবেশগত নিয়মকানুন ও প্রয়োগের বিষয়টি ঢিলেঢালা।

অতি মাত্রায় বায়ুদূষণ যদি বহু বছর ধরে থাকে, তাহলে তা মানুষের শ্বাসযন্ত্র এবং প্রদাহতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে।

সানদিল্যা বলেন, গরিব দেশের লোকজন, যেমন নয়াদিল্লির নির্মাণ শ্রমিকেরা, এরাই বায়ু দূষণে বেশি ঝুঁকির মুখে পড়ে। তারা যখন হেঁটে, মোটরসাইকেল বা বাস চড়ে কর্মস্থলে যায়, তখন তারা এই বায়ুর সরাসরি সংস্পর্শে থাকে।

রয়টার্স এক ই-মেইল বার্তায় জানায়, উন্নত দেশের মানুষেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার গাড়িতে করে তাপানুকূল অফিসে যায়।

বায়ুদূষণ কমাতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি ও নয়াদিল্লিতে পটকা ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে কোনো ফল হয়নি।

বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে জানানো হয়, দিল্লিতে দূষণ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে অনলাইন সূচকে দেখা গেছে দীপাবলি রাতে এই সূচকে ‘লাল’ চিহ্ন দেখা যায়। অর্থাৎ, বাতাসের মান তখন ‘খুবই খারাপ’।

চেন্নাইয়ে দীপাবলির রাতে বায়ু দূষণের এই মাত্রা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। উত্তর চেন্নাইয়ের সোকার্পেট এলাকায় বায়ুদূষণের মাত্রা গত বছরের তুলনায় ছিল চারগুণ বেশি। আর কলকাতায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাত তিনটায় দূষণের মাত্রা ছিল ‘তীব্র’।

ল্যানসেটের প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বে ২০১৫ সালে মৃত্যুর হার সর্বোচ্চ। এই সংখ্যা ৬৫ লাখ।

গত বছরে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের বাসিন্দারা বায়ুদূষণের প্রধান শিকার।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন