পিএনএস ডেস্ক: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, মায়ানমারে মুসলমানদের ওপর হত্যা-নির্যাতনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সমাজ নিরব রয়েছে এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যে অন্যায় বিশ্ব-ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে তা এখনো অটল রয়েছে এবং বিশ্বের গুটি কয়েক দেশ ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে।
শনিবার আঙ্কারায় এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এরদোগান আরো বলেন, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই এবং সব উগ্র গোষ্ঠীই ইসলাম ধর্ম থেকে দূরে রয়েছে। বরং শত্রুরা সব সময় মুসলমানদের বিরোধ উসকে দেয় এবং কিছু মুসলমানকে অস্ত্র দিয়ে ভ্রাতৃহত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এও বলেন, মুসলিম উম্মাহ সামাজিক ইস্যুতে নয়া চিন্তা-চেতনা তুলে ধরে নি। এ কারণে মুসলমানেরা অন্যের সভ্যতা-সংস্কৃতিকে অনুসরণ করছে। এর ফলে নানা সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে হবে।
এর আগে জাতিসংঘকে আরো সংহত করতে সংস্থাটির ‘কাঠামোগত সংস্কার’ প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। তিনি বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘ তার মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম- সে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সোমবার নিউইয়র্কে তুর্কি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এরদোগান বলেন, ‘জাতিসংঘের সবধরণের ভুলত্রুটি সত্ত্বেও এটিই বিশ্বব্যাপী একমাত্র সংস্থা যেখানে প্রত্যেকেই তাদের দাবি জানাতে পারে ও তাদের সমস্যার সমাধান চাইতে পারে।’
নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, ‘জাতিসংঘের সবচেয়ে প্রভাবশালী অঙ্গ নিরাপত্তা পরিষদের গঠন অন্যায্য। এটি বৈশ্বিক এই প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করে রেখেছে। এই অঙ্গ সংস্থাটির কারণে বিশ্ব শান্তির অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে জাতিসংঘ তার কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হচ্ছে না।’
নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, ‘এই পাঁচটি রাষ্ট্রের চেয়ে বিশ্ব অনেক বেশি বড়।’
এই দেশগুলো জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তাদের ভেটো ক্ষমতা ব্যবহার করেছে, যা বিশ্বব্যাপী সঙ্কটের মুখে জাতিসংঘকে অকার্যকর করেছে। এর সাম্প্রতিক উদাহরণ হচ্ছে সিরিয়ার যুদ্ধ। প্রায় সাত বছর ধরে চলা এই যুদ্ধ শত সহস্র মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
এই যুদ্ধের একটি কমন গ্রাউন্ড খুঁজে পাওয়ার অসংখ্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সিরিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগী রাশিয়া আন্তর্জাতিক চাপ থেকে দামেস্কের সরকারকে রক্ষা করেছে।
পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে পাশ্চাত্য কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না: এরদোগান
23-10-2017 03:18AM