পিএনএস ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের সেনাবাহিনী দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জেবিসি’র দখলে নিয়েছে। এরপরই তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ধরনের পদক্ষেপ ‘অপরাধীদের লক্ষ্য’ করে। খবর বিবিসির।
তবে সেনাবাহিনী সরকারের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয়নি বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়। একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে নিরাপদ আছেন বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার সকালবেলায় রাজধানী হারারের উত্তরাঞ্চলীয় শহরতলী এলাকায় গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় জিম্বাবুয়ের দূত আইসেক মোয়ো জানিয়েছে, এটি ক্যু নয় এবং সরকার ‘অক্ষত’ আছে।
জেবিসি দখলের কয়েক ঘণ্টা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ওই বিবৃতি পড়ে শোনানো হয়। এক সেনা সদস্য বলেন, আমরা দেশবাসীকে নিশ্চিত করতে চাই যে, প্রেসিডেন্ট এবং তার পরিবার নিরাপদে আছেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমরা শুধু প্রেসিডেন্টের চারপাশে থাকা অপরাধীদের লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছি। যাদের কারণে জিম্বাবুয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমাদের মিশন সফল হলে সব কিছু আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আমরা আশা করি।
তবে কার নেতৃত্বে এই সেনা অভিযান চালানো সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হারারেতে অবস্থানরত ব্রিটিশদের বাসা থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে হারারেতে মার্কিন দূতাবাস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, ‘চলমান সংকটের কারণে’ বুধবার অফিস বন্ধ থাকবে। জিম্বাবুয়েতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত ‘নিরাপদ স্থান’ সরে যেতে বলা হয়েছে।
জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন দল দেশটির সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহমূলক আচরণের’ অভিযোগ তোলার কয়েক ঘণ্টা পর সেনাবাহিনী এমন পদক্ষেপ নিলো। এর আগে জিম্বাবুয়ের সেনাপ্রধান জেনারেল কন্সটান্টিনো চিওয়েনগা দেশটিতে সম্ভাব্য সেনা হস্তক্ষেপের ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন।
পিএনএস/কামাল
জিম্বাবুয়ের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সেনাবাহিনীর দখল
15-11-2017 11:41AM