ছাত্রের জন্য যৌন শয্যা পেতেছিলেন শিক্ষিকা!

  20-11-2017 01:36PM

পিএনএস ডেস্ক:শিক্ষিকাদের কাছ থেকে এখন ছাত্ররাও নিরাপদ নয়। বলা হয় শিক্ষকরা পিতৃতুল্য! কিন্তু দেশ-বিদেশে এমন সব ঘটনা সংবাদমাধ্যমের সুবাদে সামনে আসছে যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য কোনো কোনো শিক্ষক তো ফেঁসে যাচ্ছেনই, সম্প্রতি শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধেও বিকৃত যৌন আচরণের নজির মিলছে। দেখা যাচ্ছে, পাঠ্য পুস্তকের পাশাপাশি তারা প্র্যাকটিক্যাল যৌন শিক্ষাও দিচ্ছেন!
.
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় এমন এক শিক্ষিকার সন্ধান পাওয়া গেছে। নাম তার হান্টার ডে। বাইশ বছর বয়সী ওই তরুণী শিক্ষিকা, রাজ্যের ইউকোন হাই স্কুলে মহান পেশায় নিযুক্ত ছিলেন। তবে ক্লাশের এক ছাত্রের সঙ্গে অপকর্মের প্রমাণ মেলায় চাকরি তো গেছেই, জেলের ঘানিও টানতে হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি রোববার জানায়, সম্প্রতি এক ছাত্রের বাবা স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। তিনি জানান, তার ছেলে স্কুলের কোনো শিক্ষিকার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছে। ছেলের আচার আচরণ দেখে এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল পরীক্ষা করে তেমনটাই নিশ্চিত হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ তোলা হলে তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ জানতে পারে, ছাত্রের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন স্কুলেরই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার এক শিক্ষিকা।

অভিভাবকের অনুরোধে কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ছাত্রের মোবাইল পরীক্ষা করে দেখে। সেখানে হান্টারের বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি পাওয়া যায়। তবে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, আপত্তিকর ছবির মধ্যে সেই ছাত্রও ছিল। তারা বুঝতে পারে, এরই মধ্যে সেই ছাত্রের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক করেছে শিক্ষিকা। আসছে বুধবার আবারও তাদের মিলিত হওয়ার পরিকল্পনা আছে।

অভিযোগ হাতে নাতে প্রমাণের জন্যে কৌশলের আশ্রয় নেয় পুলিশ। নির্ধারিত দিনটির ব্যাপারে নিশ্চিত হতে ছাত্রের মোবাইল থেকে শিক্ষিকার নম্বরে ম্যাসেজ পাঠানো হয়। সেখানে লেখা ছিল, পরিকল্পনা কি ঠিক আছে?

উত্তর আসে, হ্যাঁ, তবে বেশি দেরি করা যাবে না। কারণ স্বামী যে কোনো সময় চলে আসবে।

নির্ধারিত দিনে তরুণী শিক্ষিকার বাসার সামনে দাড়ায় পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তারা। ছাত্রের নম্বর থেকে হান্টারকে ম্যাসেজ দেয়, ‘আমি তোমার বাসার সামনে এসেছি। পর মুহুর্তেই উত্তর আসে, ‘দরজা যেমন খোলা থাকে, তেমনই আছে।’

এরপর বাড়ির ভেতরে ঢুকে পুলিশ দেখে, ঘরের ভেতরে বাতি নিভিয়ে ছাত্রের প্রতিক্ষায় খোলামেলা পোশাকে শুয়ে রয়েছেন তরুণী শিক্ষিকা। মোহময় পরিবেশ তৈরির জন্য শুধুমাত্র একটি মোমবাতি জ্বলছিল।

অবশ্য ধরা পড়ার পর সবই খুলে বলেছে তরুণী। জানিয়েছে, স্কুলে শিক্ষকের সঙ্কট হওয়ায় অস্থায়ীভাবে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। সে নিজেও সদ্য পড়াশোনার পাট চুকিয়েছে। মজার ব্যাপার হল, স্বামী নামের যে মানুষটিকে সে ঠকাচ্ছিল সেই ব্যক্তিই চাকুরিটা তাকে পাইয়ে দেয়।

বাজেট সঙ্কটে থাকা স্কুল কর্তৃপক্ষ অল্প বেতনে কর্মী পাওয়ায় হান্টারকে সাদরেই নিয়ে নেয়। শিক্ষকতায় হান্টারের যে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, তাছাড়া ছাত্রদের স্কুলে অল্প বয়সী তরুণীকে নিয়োগ দেয়া ঠিক হচ্ছে কিনা তাও তারা বিবেচনায় নেয়নি। ফলে মাত্র ১০ মাসের নিয়োগ পায় ২২ বছর বয়সী হান্টার ডে।

নীতি বহির্ভূত সম্পর্ক, অনৈতিক কর্মে প্ররোচনা, পর্নগ্রাফি এবং ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে অবশ্য ৮৫ হাজার ডলার খরচ করে জামিন নেয় হান্টার।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ধরনের ঘটনা সামাজিক শৃঙ্খলার পরিপন্থী। এর ফলে মানুষের মনে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। স্কুলের শিক্ষকদের সাধারণত ছাত্রদের নিরাপত্তা এবং অধ্যয়নে বেশি দায়িত্বশীল হতে হয়। কিন্তু তারাই যদি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তবে তা অবশ্যই উদ্বেগজনক।

এমন ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষেরও ঘোর কেটেছে। এরপর আর যাই হোক, কোনো নিয়োগ প্রক্রিয়ার আগে পর্যাপ্ত যাচাই বাছাই করে তবেই তা সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক।


পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন