পাকিস্তান-সৌদি যৌথ মহড়ার প্রস্তুতি

পিএনএস ডেস্ক: পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে ‘শেহাব-২’ শীর্ষক যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সৌদি আরবের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ)। রিয়াদে শিগগিরই এই মহড়া শুরু হবে বলে পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সৌদি আরবের সরকারি বার্তা সংস্থাকে দেশটির বিশেষ বাহিনীর কমান্ডার লে. জেনারেল মুফলেহ বিন সলিম আল-কুতাইবি রবিবার বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামরিক দক্ষতা বিনিময়ের জন্য এই মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। দুই ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের সামরিক বাহিনীর দক্ষতা, সামর্থ্য ও প্রস্তুতি জোরদার করাও এর লক্ষ্য।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত সন্ত্রাসবিরোধী ৪১-জাতি ইসলামিক মিলিটারি এলায়েন্স (আইএমএটি)’র প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা আগামী সপ্তাহে প্রথম সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠকে অংশ নিতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা আসার পরপরই পাকিস্তান-সৌদি আরব যৌথ সামরিক মহড়ার খবর প্রকাশ করা হয়।

আইএমএটি’র সদস্য দেশগুলো ২৬ নভেম্বর রিয়াদে এক সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানায়।

জোটের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা ও সমন্বয় জোরদার আইএমএটি’র লক্ষ্য।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর এই ৪১-জাতি সামরিক জোট যাত্রা শুরু করে। এর সদস্য দেশগুলোর সবাই সুন্নি। এতে তুরস্ক, মালয়েশিয়া ও মিশরও রয়েছে।

এসপিএ জানায়, আসন্ন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এই সামরিক জোটের ‘আসল যাত্রা’ শুরু হবে।

পাকিস্তান সবসময় সৌদি আরবের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক’ হিসেবে উল্লেখ করে।

দুটি দেশই ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)’র সদস্য হওয়া ছাড়াও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে শক্তিশালী সামরিক সম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রায়ই সৌদি আরবের বিভিন্ন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করে। পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফকে রিয়াদভিত্তিক ইসলামিক সামরিক জোটের কমান্ডার নিযুক্ত করা হয়েছে।

এই জোট সদস্য দেশগুলোর একটি নিরাপত্তা মঞ্চ হিসেবে কাজ করবে। এতে প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম ও সেনাসদস্য বিনিময় এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিজ্ঞজনদের কাজে লাগানোর কথা বলা হয়েছে।

গত মাসে সৌদি পদাতিক বাহিনীর সঙ্গে ‘আল-শামান ৬’ শীর্ষক তিন সপ্তাহব্যাপী এক সামরিক মহড়া শেষ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। ওই মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার, অতর্কিত হামলা, কমব্যাট টহল এবং আইইডি মোকাবেলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মহড়ায় নেতৃত্ব দেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩০তম কোরের কমান্ডিং অফিসার লে. জেনারেল আকরাম আল-হক।

সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি করতে পাকিস্তান আগ্রহী। পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে জোরালে সমর্থন দেয় সৌদি আরব।

পিএনএন/কামাল