ইরানের বিরুদ্ধে আরবদের নিয়ে সৌদির সম্মিলিত ফ্রন্ট!

  21-11-2017 10:06AM

পিএনএস ডেস্ক: ইরানের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধে সম্মিলিত ফ্রন্ট গঠনের ডাক দিয়েছেন সৌদি আরব ও অন্যান্য আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।

রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আরব লিগের এক জরুরি বৈঠকে তারা ইরান ও এর লেবাননি মিত্র হিজবুল্লাহর সমালোচনা করেন।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবের অনুরোধে এবং আরব আমিরাত, বাহরাইন ও কুয়েতের সমর্থনে আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিরা কায়রোতে জরুরি বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবাইর বলেছেন, ‘সৌদি আরব নীরব দর্শক হয়ে থাকবে না, আর নিজের নিরাপত্তা রক্ষায় ইতস্তত করবে না। আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে।’ বৈঠকের পর এক যৌথ ঘোষণায় আরব লিগ আরব দেশগুলোর উগ্রপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে অত্যাধুনিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার জন্য হিজবুল্লাহকে অভিযুক্ত করে। পাশাপাশি ইয়েমেনের বেসামরিক বাহিনীগুলোকে অস্ত্র সরবরাহের জন্য তেহরান সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে বিস্তারিত অভিযোগ জানানো হবে বলে ঘোষণায় বলা হয়।

হিজবুল্লাহ পরিচালিত আল-মানার টেলিভিশন জানিয়েছে, আরব লিগের ঘোষণায় হিজবুল্লাহকে সন্ত্রাসবাদের জন্য অভিযুক্ত করায় লেবাননের আরব লিগ প্রতিনিধি আপত্তি জানিয়েছেন এবং হিজবুল্লাহ লেবানন সরকারের অংশ বলে জানিয়েছেন। বৈঠকের পর এক টুইটে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আরব দেশগুলোর যুক্ত পদক্ষেপের বিষয়ে ঘোষণায় ‘স্পষ্ট বার্তা’ দেয়া হয়েছে। আরব লিগের মহাসচিব আহমদ আবুল গাইছ বলেছেন, ‘ইরানের হুমকি সব সীমা অতিক্রম করেছে এবং পুরো অঞ্চলকে একটি বিপজ্জনক গহ্বরে ঠেলে দিচ্ছে।’

এসবের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সৌদি সরকারের মতো দেশগুলো বিভক্তি সৃষ্টি করে বিভেদ উসকে দিচ্ছে, এর কারণ তারা বিভক্তি ছাড়া অন্য কোনো ফল দেখতে পায় না।’ সম্প্রতি লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরির হঠাৎ পদত্যাগ ও ইয়েমেনে যুদ্ধের তীব্রতা বৃদ্ধির ঘটনায় সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। ৪ নভেম্বর রিয়াদ থেকে দেয়া এক আকস্মিক টেলিভিশন ঘোষণায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে ইরান ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে শত্রুতা ছড়ানোর অভিযোগ করেন।

কিন্তু লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন ও অন্যান্য রাজনীতিক হারিরিকে আটকে রাখার দায়ে সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করে এবং তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে দাবি করে। সৌদি আরব ও হারিরি, উভয়েই অভিযোগ অস্বীকার করে। প্রতিদ্বন্দ্বী বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে সমঝোতার মধ্য দিয়ে গঠিত লেবানন সরকারের অংশ হিজবুল্লাহ ও শিয়া এই গোষ্ঠীটি প্রেসিডেন্ট আউনের মিত্র। একই সঙ্গে রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিজবুল্লাহ প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার গৃহযুদ্ধেও অংশ নিচ্ছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন