ফিলিস্তিনিদের ত্রাণ কমিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পিএনএস ডেস্ক: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য কর্মরত জাতিসংঘের ত্রাণ ও সাহায্য সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএকে অনুদান হিসেবে ৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার না দিয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বিষয়টি মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাত দিয়ে প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

ইউএনআরডব্লিউএ’র সবচেয়ে বড় অনুদান দাতা যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থার বাজেটের ৩০ শতাংশই দিয়ে আসছে ট্রাম্পের দেশটি। সে হিসেবে প্রতিবছর সংস্থাটিকে ১২ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। তবে এবার সংস্থাটিকে মাত্র ৬ কোটি ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ অর্থ দিলেও ইউএনআরডব্লিউএকে সংস্কারের শর্ত জুড়ে দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।

ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দল পিএলও’র এক কর্মকর্তা ওয়াসিল আবু ইউসুফ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার স্বেচ্ছায় অস্বীকারের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং এর সঙ্গে গত ৬ ডিসেম্বর ট্রাম্পের জেরুজালেম ঘোষণার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, অনুদান কমানোর বিষয়টি তার জানা নেই। তবে এর সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারণ স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

এর আগে সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউএনআরডব্লিউএ’র অনুদান অর্ধেক কমিয়ে আনার প্রস্তাবটি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাত্তিস। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিক্কি হ্যালি পুরোটাই বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন। হ্যালির প্রস্তাবের সমঝোতা হিসেবেই টিলারসন ও মাত্তিস এই পাল্টা প্রস্তাব করেছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিবাদে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে আরব দেশগুলোর উদ্যোগে একটি প্রস্তাব গ্রহন করা হয়। মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে পাস হয়। এরপরই ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অনুদান বন্ধের হুমকি দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।

পিএনএস/আনোয়ার