ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করলেন মা

  19-01-2018 04:57PM

পিএনএস ডেস্ক : ১৪ বছরের কিশোর ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পুড়িয়ে ভস্ম করা হলো। দেহাবশেষ ফেলা হলো বাড়ির কাছেই। আর এ নির্মম কাজ করলেন তার জন্মদাত্রী মা। কী এমন করেছিল ছেলেটি? মায়ের সঙ্গে তর্ক।

গত মঙ্গলবার ভারতের কেরালা রাজ্যের কল্লাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন বুধবার ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে যান মা-বাবা।

জিতু জব কেবল দাদা-দাদির বাড়ি থেকে বাসায় ফিরেছিল। ফিরেই রান্নাঘরে মায়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেয়। একপর্যায়ে মা জয়া মল রাগ সামলাতে না পেরে জিতুকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করতে আগুনে পুড়িয়ে বাড়ির দেয়ালের পেছনে জঞ্জালে ফেলে দেন।

পুলিশ জানায়, ছেলে হারিয়ে গেছে বলে স্বামী জব জনকে নিয়ে থানায় ডায়েরি করতে যান জয়া। তাঁর বক্তব্যে অসংগতি পেয়ে পুলিশের সন্দেহ হয়।

এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। গত বুধবার জয়া মলের বাড়ির পেছনে কিশোর জিতুর চপ্পল পায় পুলিশ। পরে বাড়ির ২০০ মিটারের মধ্যে জিতুর লাশ পাওয়া যায়।

এরপরই জয়া মলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদে একপর্যায়ে জয়া মল যে স্বীকারোক্তি দেন, তা যেন কোনো অপরাধবিষয়ক সিনেমার গল্প।

স্থানীয় বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত জিতু। ঘটনার দিন দাদা-দাদির বাড়ি থেকে বাসায় ফিরে মায়ের সঙ্গে খুব ঝগড়া হয় তার। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রাগ সামলাতে পারেননি মা জয়া মল। প্রচণ্ড আক্রোশে নিজের সন্তানকে ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি। হত্যার পর লাশটি বাড়ির পেছনের উঠানে নিয়ে যান তিনি।

এরপর পাতা আর নারকেলের ছোবড়া দিয়ে লাশের গায়ে আগুন দেন। পুড়ে যাওয়া দেহটা প্রথমে বাড়ির দেয়াল দিয়ে পেছনে ফেলে দেন। পরে টানা গাড়িতে করে ওই দেহ কিছু দূর টেনে নিয়ে গিয়ে জঞ্জালে ফেলে দেন। গ্রামবাসী অনেকে তাঁকে কিছু টেনে নিয়ে যেতে দেখেছেন। তবে তিনি যে নিজের সন্তানের লাশ সরাচ্ছেন, তা কেউ কল্পনাও করেনি।

রাতে জয়ার স্বামী বাসায় ফিরলে তিনি বলেন, ছেলে পাশের দোকানে গিয়েছিল, এখনো বাসায় ফেরেনি। পরে সকালে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে থানায় ডায়েরি করতে যান।

কল্লাম পুলিশ কমিশনার এ শ্রীনিভাস এনডিটিভিকে বলেন, ‘জয়া স্বীকার করেছেন, ছেলেকে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে গুম করতে চেয়েছিলেন।’

কী কথার কারণে জয়া এত রেগে গিয়েছিলেন, তা এখনো জানা যায়নি। জব জন জানান, তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে সুস্থ নন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন