নতুন অবরোধ, বিপাকে ইরান!

  18-03-2018 03:08PM


পিএনএস ডেস্ক: পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে স্বাক্ষরিত ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের অসন্তোষের মুখে এবার তেহরানের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরই মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে ইইউর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে ফ্রান্স, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য।

২০১৫ সালে দেশটির সাথে করা পরমাণু চুক্তি শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনকে সম্মত করার লক্ষ্যে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। শুক্রবার ইইউভুক্ত দেশগুলোয় এই প্রস্তাবসংকলিত একটি যৌথ চিঠি পাঠানো হয়েছে। কেননা, নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হলে ইইউভুক্ত সব দেশকে প্রস্তাবে রাজি হতে হবে। এ কারণে প্রস্তাবক দেশগুলো অন্যদেরও রাজি করানোর চেষ্টা করছে।

প্রস্তাবিত এ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ইউরোপীয় দেশগুলো মূলত ট্রাম্প প্রশাসনকে দেখাতে চায় ইরানের অন্যায্য আচরণের ব্যাপারে তারাও সোচ্চার। তবে পারমাণবিক উত্তেজনা হ্রাসে দেশটির সাথে করা চুক্তি বহাল থাকা প্রয়োজন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই এ চুক্তির বিরোধিতা করে আসছেন। তিনি চুক্তিটি বাতিল বা সংশোধনের কথা বলেছেন। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প চুক্তিটি বহাল রাখার ঘোষণা দিয়ে বলেন, চুক্তিটি সংশোধনে এটাই ইরানের জন্য ‘শেষ সুযোগ’। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় তেহরান বলেছে, তারা চুক্তিতে কোনো পরিবর্তন আনবে না।

ট্রাম্প জানান, ইরানের জন্য এ সুযোগ চার মাস বা ১২০ দিনের জন্য। এ সময়ের মধ্যে ইরানের সাথে আলোচনা ছাড়াই ইউরোপীয় মিত্রদের সাথে নিয়ে একটি নতুন চুক্তির খসড়া করা হবে। নতুন চুক্তিতে বর্তমান চুক্তির ‘বিপজ্জনক ত্রুটিগুলো’ দূর করা হবে। গত জানুয়ারিতে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের পর প্রতি চার মাস পর পর স্থগিতাদেশ বাড়ানোর নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। আগামী ১২ মে নতুন করে স্থগিতাদেশ না দিলে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।

রয়টার্সের হাতে থাকা নথিতে ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও সিরিয়ার আসাদ বাহিনীকে সমর্থনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। নথিতে বলা হয়েছে, প্রকাশ্য ভূমিকার কারণে সামনের দিনগুলোয় কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রভাবশালী দেশগুলোর নতুন এ উদ্যোগ নিয়ে এরই মধ্যে তেহরানের হতাশার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন