সিরিয়ায় মার্কিন জোটের হামলায় রাজনৈতিক চাপে তুরস্ক

  15-04-2018 03:41PM


পিএনএস ডেস্ক: সিরিয়ার লক্ষ্যমাত্রায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলার ঘটনায় রাশিয়া এবং পশ্চিমা শক্তিগুলোর সঙ্গে তুরস্কের ভারসাম্য নীতিকে আরো চ্যালেঞ্জিং অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

বিমান হামলাকে স্বাগত জানিয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সের এই অপারেশনকে তুরস্ক যথাযথ প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এই অপারেশনকে স্বাগত জানাই। ডুমাতে হামলার মুখে এই অপারেশন মানবতার বিবেককে জাগ্রত করেছে; যা সিরিয়ার শাসক কর্তৃক পরিচালিত হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে।’

রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে জড়িত অপরাধীদের শাস্তির বাইরে থাকা উচিত নয় বলেও এই বিবৃতিতে বলা হয়।

এই অপারেশনের পূর্বে তুর্কি চিফ জেনারেল স্টাফ হুলিসি আকার তার মার্কিন কাউন্টারপার্ট জিম ম্যাটিসের সঙ্গেও কথা বলেন বলে জানা গেছে।

আসাদ সরকারের ‘অমানবিক হামলার’ জবাবে মার্কিন জোটের বিমান হামলাকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানও স্বাগত জানিয়েছেন।

ইস্তাম্বুলের আল-শারক ফোরামের গবেষণা পরিচালক গালিপ ডালি তুরস্কের প্রতিক্রিয়াকে বাস্তব অবস্থার নিরিখে একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়ার চেয়েও নৈতিক প্রতিক্রিয়াকে বড় করে দেখছেন।

তিনি আরব নিউজকে তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে তুরস্ক আন্তরিকভাবে আসাদ বিরোধী যেকোনো ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছে এবং এতে অংশ নিয়েছে। যাইহোক, সিরিয়ার সরকার পরিবর্তনের এজেন্ডা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির বিষয়টি এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত নয়।’

তথাপিও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, সিরিয়াতে চলমান বিমান হামলার ঘটনা সিরিয়ার উত্তেজনা প্রশমন নিয়ে আস্তানা বৈঠকের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে না। গত বছর আঙ্কারা, মস্কো ও তেহরানের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ডালি জানান, সিরিয়া নিয়ে যেকোনো পদক্ষেপের ব্যাপারে তুরস্ককে এখন তার আস্তানা চুক্তির অংশীদারদের সঙ্গে অংশ নিতে অনিচ্ছুক বলেই মনে হচ্ছে।

আঙ্কারা ভিত্তিক থিঙ্ক ‘ওরসাম’ এর সিরিয়া বিশেষজ্ঞ ওয়েটান অরহান এ বিষয়ে একমত পোষন করে বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত এই অপারেশনের আকার সীমিত পর্যায়ে থাকবে, তুরস্ক ততদিন এই পরিস্থিতিকে কূটনৈতিকভাবে পরিচালনা করবে।’

আরব নিউজকে তিনি বলেন, ‘যদি এই সংঘর্ষের একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদিকে ইরান ও রাশিয়ার মধ্যে বিস্তৃত হয়, সেক্ষেত্রে তুরস্কের পক্ষে এই অবস্থান বজায় রাখা আরো কঠিন হয়ে পড়বে। এই ক্ষেত্রে, তুরস্ককে আরো স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।’

ওরহানের মতে, অপারেশনের বর্তমান স্তর তুরস্কের স্বার্থের মধ্যেই রয়েছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন