শিশু আসিফা ধর্ষণের ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভ

  16-04-2018 10:26AM

পিএনএস ডেস্ক:ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

রবিবারও দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। ঐ ঘটনা নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জের ধরে পদত্যাগ করেছেন বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা।

এদিকে, মামলার বিচারকাজ অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের জন্য নিহত আসিফার পরিবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি কাশ্মিরের কাঠুয়া শহরের কাছে যাযাবর গুজ্জর সম্প্রদায়ের আসিফা বানু নিখোঁজ হয়। সাতদিন পর কাছের একটি জঙ্গলে তার মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ১৯ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করে। তরুণের জবানবন্দির ভিত্তিতে তার চাচা মন্দিরের (যে মন্দিরে আসিফাকে আটকে রেখে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়) পরিচালক সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম এবং পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার চতুর্থ ব্যক্তি স্পেশাল পুলিশ অফিসার সুরিন্দর কুমার। তাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থলে দেখছিল। ওই তরুণের বন্ধু প্রবেশ কুমারও শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে। তাকে খুঁজছে পুলিশ।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, ইসলাম ধর্মাবলম্বী যাযাবর সম্প্রদায়কে হিন্দুপ্রধান এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া আর তাদের মনে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য ঐ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশি তদন্ত এবং ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনার রাসায়নিক পরীক্ষায় অভিযুক্তদের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তিন মাস আগের এ ঘটনা নিয়ে এ সপ্তাহে ভারত জুড়ে আবারও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

কারণ, গ্রেফতার ব্যক্তিরা হিন্দু হওয়ায় হিন্দু অধ্যুষিত জম্মুর কয়েকটি হিন্দু অধিকার সংগঠন তাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। অভিযুক্তদের নির্দোষ প্রমাণ করতে পুলিশকে মোটা অংকে ঘুষের প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল। এমনকি প্রমাণ লোপাট করতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনন্দ দত্ত এবং প্রধান কনস্টেবল তিলক রাজ গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেননি এবং আসিফার পোশাক ধুয়ে ফেলেন বলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়।

এছাড়াও ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির দুই মন্ত্রী অভিযুক্তদের মুক্তির দাবিতে করা মিছিলে অংশ নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু ধর্মের কারণে এরকম নৃশংস একটি ঘটনার পরও অভিযুক্তদের মুক্তি দাবি এবং ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রীদের তা সমর্থন করায় পুরো ভারত ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন